নিজস্ব সংবাদদাতা, বহরমপুরঃ আগামীকাল বহরমপুর কি হতে যাচ্ছে লোকসভা নির্বাচনে বাম-কংগ্রেস জোটের উৎসস্থল? জোরদার আলোচনা শুরু হয়েছে বহরমপুরে। তার আঁচ লেগেছে রাজ্যেও। সোজাসুজি এর উত্তর না দিয়ে জেলা কংগ্রেস মুখপাত্র জয়ন্ত দাস বলেন, “আমি জানি না। যারা আপনাদের বলেছে তাঁরাই এর সঠিক উত্তর দিতে পারবে?” সিপিএমের জেলা সম্পাদক জামির মোল্লা বলেন, “রাজ্যস্তরের নেতারা এই বিষয়ে যা বলার বলতে পারবেন। আমার জানা নেই।”
মঙ্গলবার দলীয় কর্মসূচি সেরে কলকাতা ফিরে গিয়েছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। লোকসভার শেষ অধিবেশন শেষে অধীর তাঁর সংসদ এলাকায়। এই অবস্থায় সেলিম বহরমপুরে এসে বহরমপুর টাউন ক্লাবে তাঁরা একে অপরের মুখোমুখি হবেন সূত্রের এই দাবি নিয়ে ভ্রুকুঞ্চন রাজনীতির চর্চাকারীদেরও।
তবু সুত্রের দাবি, আগামী কালকেই ঘোষিত হয়ে যাবে বাংলায় ‘ইন্ডিয়া’ জোটের ভাগ্য। বাংলায় রাহুল গান্ধীর ন্যায় যাত্রা কালেই মোটামুটি জোটের ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে গিয়েছিল বলে যদিও রাজনীতির পরিমন্ডলে গুঞ্জন। তবুও শেষ পর্যন্ত তা টিকিয়ে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব রাহুল গান্ধী, মল্লিকার্জুন খড়গেরা দাবি কংগ্রেসের।
কিন্তু সেই সম্ভাবনায় জল ঢেলেছেন মুখুমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই। বহরমপুরে প্রশাসনিক সভা করতে এসে সিপিএমের পাশাপাশি কংগ্রেস নিয়েও তাঁর ক্ষোভ চেপে রাখেন নি মমতা। তারপর থেকেই ‘ইন্ডিয়া’ জোটের রুপালী রেখাও ক্ষীণ হতে হতে মিলিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। এমনটাই দাবি রাজনৈতিক মহলে। আর ততই একে অপরের কাছাকাছি এসেছে সিপিএম ও কংগ্রেস।
চর্চায় ফেরে আসন সমঝোতাও। সিপিএম, কংগ্রেসের কাছে মুর্শিদাবাদের তিনটি লোকসভা আসনের মধ্যে অন্তত দুটি আসন জঙ্গিপুর ও মুর্শিদাবাদ আসনটি চাইতে পারেন বলেও চর্চা শুরু হয়। মালদার দুটি আসন কংগ্রেসকে ছাড়তে চায় বামেরা’। কর্মীদের মধ্যে তুমুল তর্কের ঝড় ওঠে কেন জঙ্গিপুর কেন মুর্শিদাবাদ বামেদের জন্য কংগ্রেসের ছেড়ে দেওয়া উচিত। পাল্টা কংগ্রেসের কর্মীরাও যুক্তি দেখাতে থাকেন কোন আক্কেলে এক লপ্তে দুটি আসন চাইছে বামেরা? তবে নীচুতলার কর্মীদের দাবি পাল্টা দাবির কোনও মান্যতাই দিতে চান নি আলোচিত দুই রাজনৈতিক দলের জেলা নেতারা।