Adhir Nawsad: ” অধীর বাবু ভয়ে মেজাজ হারাচ্ছেন। নিজের সিট টা বাঁচাতে তিনি রাজ্যে বিজেপি ও তৃণমূলের হাত শক্ত করছেন”, সুতিতে প্রার্থীর সমর্থনে সভা থেকে এইভাবেই আইএসএফ চেয়ারম্যান তথা ভাঙরের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। তীর দাগেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী তথা বহরমপুর লোকসভার কংগ্রেস প্রার্থীর বিরুদ্ধে ।
পুরনো কাহিনী অনুযায়ী তিনটি দল পশ্চিমবঙ্গে সমঝোতার মধ্যদিয়ে ভোটের ময়দানে নেমেছিল। কিন্তু সেই সমঝোতাই গোড়ায় গলদ থাকায় লোকসভা ভোট আসতে আসতে আইএসএফ, কংগ্রেস, সিপিআই(এম) এই তিন দলের থেকে নিজেদের রাস্তা আলাদা করে নিয়েছে নওশাদ সিদ্দিকীর দল। নওশাদরা চেয়েছিলেন এই লোকসভা ভোটে কমপক্ষে ১২টি সিটে লড়বেন। কিন্তু নওশাদ সিদ্দিকীর মতে সেই সংখ্যা কমতে কমতে নেমে যায় ৭টি। তারপরেও আরও নামে সেই পরিসংখ্যাণ। শেষমেশ সিটের সমঝোতা না হওয়াই সমঝোতার রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ান। এবং ধীরে ধীরে নিজেদের প্রার্থী দিতে থাকেন। মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রে আইএসএফ নিজেদের প্রার্থী দিয়ে নিজেদের ভাবনা পরিস্কার আগেই করে দিয়েছিল। তারপর জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী দিয়ে সেই দাবি আরও শক্ত করেন।
রবিবার সুতির রঘুনাথপুরে জঙ্গিপুরের আইএসএফ প্রার্থী সাজাহান বিশ্বাসের সমর্থনে জনসভার আয়োজন করা হয়। এদিন সভায় প্রার্থী সহ দলীয় নেতৃত্বকে সাথে নিয়ে তৃণমূল ও বিজেপিকে নিশানা করেন নওশাদ সিদ্দিকি। সভা শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আইএসএফ চেয়ারম্যান দাবি করেন অধীর বাবু মানুষের প্রতি ভরসা রাখতে পাড়ছেন না। নিজের সিট বাঁচাতে তিনি রাজ্যে বিজেপি ও তৃণমূলের হাত শক্ত করছেন। এদিন নওশাদ সিদ্দিকী বলেন, “অধীর বাবু একজন সিনিয়ার লিডার। তিনি যেভাবে নিজের মেজাজ হারাচ্ছেন। অধীর বাবু মেজাজ হারাচ্ছে, মানুষের ওপর থেকে ভরসা হারাচ্ছেন”।
৭ই মে জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্রে ভোট। এই কেন্দ্রে বিজেপি, তৃণমূল , কংগ্রেসের পাশাপাশি প্রার্থী দিয়েছে আইএসএফও। এক কেন্দ্রে মানুষ পরিবর্তন চাইছে বলেই দাবি নওশাদের। তবে শেষ হাসি কে হাঁসবে সে তো সময়ই বলবে।