Electroral Bond পয়লা জুন সপ্তম এবং অন্তিম দফার ভোট। তার আগে বাংলায় অন্তিম নির্বাচনী প্রচার সারলেন নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসও (Trinamool Congress) জোরকদমে শেষ বেলার প্রচার সারছে। তারই মাঝে বিজেপি (BJP) এবং তৃণমূলকে এক তিরে বাঁধলেন অধীর চৌধুরী (Adhir Chowdhury)। বুধবার সাংবাদিক বৈঠক থেকে বিজেপি এবং তৃণমূলকে ইলেক্টোরাল বন্ডের (Electoral Bond) টাকা নিয়ে আক্রমণ করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন, মোদী দেশের জন্য কী করেছে তার জবাব দিক। আমরা দিদিকে জিজ্ঞেস করবোই আপনি কী করেছেন এই বাংলার জন্য। দেশ এবং রাজ্য দুটোই লুঠ হয়েছে। নির্বাচনী বন্ড তার বড় প্রমাণ”।
এদিন অধীর চৌধুরী আরও বলেন, “ভোটের সময় বড় বড় বাতেলা মেড়ে লাভ নেই। নির্বাচনী তহবিলে এই দেশের যে সমস্ত অসাধু ব্যবসাদাররা থেকে সরকারি খাজনা কে যারা লুঠ করেছে তারা নিজেদের টাকা দিয়েছেন। তারপর সেই সমস্ত অসাধু ব্যবসায়ীরা তারা কেউ লটারি কিং তারা কেউ সারদা কোম্পানির মালিক। তারা দিদি তহবিলে দিয়েছে প্রায় কয়েকশো কোটি টাকা”।
এছাড়াও কারাকারা তৃণমূলকে মূলত নির্বাচনী বন্ডের টাকা দিয়েছে। সেই বিষয় নিয়ে তিনি বলেন, “লটারি কিং ম্যাডরাসের সে দিয়েছে ৬০০ কোটি। সুদীপ্ত সেন সারদা কাণ্ডের নায়ক সে দিয়েছে ২৭ কোটি। ভারতবর্ষের কংগ্রেস ১৩৮ বছরের পুরনো পার্টি। তাদের ঘরে ১২০০ কোটি টাকা। দিদির ঘরে ১৬০০ কোটি টাকা। আর মোদী তো হাজার হাজার কোটি টাকা নিয়ে কথা বলে”। অন্তিম দফা ভোটের আগে নির্বাচনী বন্ড নিয়ে খোঁচা কতটা কার্যকরী হবে। সেই দিকেই তাকিয়ে রাজ্য রাজনীতি।