Adhir Controversy: বহরমপুরে তৃণমূল কর্মীকে মারধর করেছেন বিদায়ী সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী ( Adhir Ranjan Chowdhury) । এই অভিযোগে এবার বহরমপুরে পথে তৃণমূল। কার্যত সর্বশক্তি দিয়ে জমায়েত তৃণমূলের। খোদ কংগ্রেস অফিস ঘিরে চলল স্লোগান, বিক্ষোভ। অধীরকে নিশানা করলেন বহরমপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান নাড়ুগোপাল মুখার্জি ( Narugopal Mukherjee) । ১৩ মে নির্বাচন বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রে। বহরমপুরে তৃণমূল প্রার্থী করেছে ইউসুফ পাঠানকে। ভোটের আগে অধীর তৃণমূল তরজায় সরগরম বহরমপুর।
কিন্তু কী ঘটেছিল ?
শনিবার সকালে বহরমপুরে নতুনবাজার এলাকায় এক তৃণমূল কর্মীর সাথে বচসায় জড়ান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি, পাঁচ বারের সাংসদ অধীর চৌধুরী । এদিন সকালে অধীর চৌধুরী গান্ধী কলোনীতে প্রচার সেরে ভাগিরথীর ধারে তৃতীয় সড়ক দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন অধীর। সেই সময় বহরমপুরের নতুনবাজার গোয়ালপাড়ায় হনুমান মন্দিরের সামনের রাস্তায় এক তৃণমূল কর্মী তার বিরুদ্ধে অশালীন মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ। এরপর গাড়ি থেকে নেমে ওই তৃণমূল কর্মীর সাথে বচসায় জড়ান অধীর। ওই ব্যক্তির কলারও ধরতে দেখা যায় অধীরকে। মারধর করার সিসিটিভি ফুটেজ হয় ভাইরাল।
এরপরই তৃণমূল কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন অধীর চৌধুরী। গো ব্যাক স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ তৃণমূল কর্মীদের। পালটা স্লোগান দেন অধীর অনুগামীরা ।
যদিও অধীর চৌধুরী দাবি করেছেন, তিনি কাউকে মারধর করেন নি। এই ঘটনা ঘিরে দিনভর বাড়তে থাকে উত্তাপ। সকালেই এই ঘটনা নিয়ে চ্যালেঞ্জ ছুড়েছিলেন বহরমপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান নাড়ুগোপাল মুখার্জি।
কী হল এদিন ?
শনিবার দুপুরে বহরমপুর ফৌজদারি কোর্ট মোড় থেকে মিছিল শুরু হয় তৃণমূলের। মিছিলে সর্বশক্তি দিয়ে শহরের কর্মীদের হাজির করেছিল তৃণমূল। এরপর বহরমপুরে জেলা কংগ্রেস ভবনের সামনের রাস্তায় মিছিল এসে থামে । কার্যত কংগ্রেস অফিস ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তৃণমূল কর্মীরা। কংগ্রেসের অফিসের সামনে রাস্তাতেই হয় সভা।
সেই সভা থেকে অধীর চৌধুরীকে নিশানা করেছেন বহরমপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান নাড়ুগোপাল মুখার্জি। নাড়ুগোপাল মুখার্জির দাবি, কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তারক্ষীদের ব্যবহার করে সন্ত্রাস চালাচ্ছেন অধীর। এই বিষয় নিয়ে আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি।