Adhir Chowdhury অধীর অপসারণ নিয়ে শুরু রাজনৈতিক বিতর্ক। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদ থেকে অধীরকে সরিয়েছে কংগ্রেস All India Congress Committee। প্রদেশ কংগ্রেস- West Bengal Pradesh Congress Committee ‘র সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে শুভঙ্কর সরকারকে। সভাপতি পদ থেকে অপসারিত বহরমপুরের প্রাক্তন সাংসদ Adhir Ranjan Chowdhury । এই নিয়ে তৃণমূল জেলা সভাপতি অপূর্ব সরকারের খোঁচা, মুর্শিদাবাদের সভাপতি ছিলেন অধীর। তাঁর প্রতিদিনের কাজ ছিল সকাল বিকেল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে অকথা কুকথা বলে আক্রমণ করা। তবে সেসব কথার কোন গুরুত্ব নেই কারণ রাজ্যের মানুষ তৃণমূলকে ভোটে জিতিয়েছেন। অপূর্ব সরকারের দাবি, অধীর চৌধুরীর জেলা মুর্শিদাবাদেই ৩ আসনে হেরেছে কংগ্রেস, জিতেছে তৃণমূল। তৃণমূল নেতার দাবি, কংগ্রেসের সভাপতি বদল নিয়ে চিন্তত নয় তৃণমূল ।
Adhir Chowdhury: RGkar issue Adhir বহরমপুরের সভায় মুখ্যমন্ত্রীকে কী পরামর্শ দিলেন অধীর?
অধীর চৌধুরী এবং অপূর্ব সরকারের মধ্যে ছিল এক সময় ছিল গুরু শিষ্যর সম্পর্ক। রাজনীতির ছক্কা, পাঞ্জায় সেই সম্পর্ক পরিণত হয়েছে শত্রুতায়। দীর্ঘদিন ছিলেন অধীর চৌধুরীর দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা। ২০১৮ সালে অধীরের সঙ্গত্যাগ করেছিলেন অপূর্ব সরকার Apurba Sarkar । ২০১৮ সালের মার্চ মাসে যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলে। ২০১৯’এর লোকসভা নির্বাচনে অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে লোকসভা ভোটেও লড়েন ডেভিড । তবে সেবার পরাজিত হন তিনি। কালক্রমে তিনিই এখন তৃণমূলের মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি।
Adhir Chowdhury যদিও তৃণমূল শিবিরের দাবি, লাগামছাড়া মমতা বিরোধিতার কারণেই অপসারিত অধীর। অপূর্বর আক্রমণে চটছে কংগ্রেসও। অপূর্ব সরকারকে তৃণমূলের আধা জেলার সভাপতি বলে কটাক্ষ করেছে কংগ্রেস। কংগ্রেস নেতা জয়ন্ত দাসের দাবি, অধীর চৌধুরীর কারণেই বাড়বাড়ন্ত অপূর্ব সরকারের। তিনি বলেন, “নিজের চরকায় তেল দিন অপূর্ব সরকার। যার দায়তে এই যায়গায় এসেছেন একটু সংযত হওয়াই ভালো। কংগ্রেসের সঙ্গে আপনি বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন”।