রাষ্ট্রপতিকে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের হেনস্থা বন্ধে ব্যবস্থার আর্জি অধীরের
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ভিন রাজ্যে বাঙালি হেনস্থা বন্ধ করতে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করলেন কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য ও বহরমপুরের প্রাক্তন সাংসদ অধীর চৌধুরী Adhir Chowdhury। বুধবার সকালে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন তিনি। রাজ্যে রাজ্যে বাঙালিদের হেনস্থা ও বাংলাভাষী পরিযায়ী শ্রমিকদের Migrant Workers ‘বাংলাদেশি’ তকমা দেওয়ার অভিযোগ করেন তিনি। এই সংক্রান্ত বিষয়ে রাষ্ট্রপতির হাতে দুই পাতার স্মারকলিপিও তুলে দেন অধীর। প্রায় ৪০ মিনিটের বৈঠক হয় বলে জানা গিয়েছে। পরে অধীর জানিয়েছেন, পরিযায়ীদের হেনস্থা নিয়ে বক্তব্য শোনার পর তাঁকে আশ্বস্ত করেন রাষ্ট্রপতি।
অধীর রাষ্ট্রপতিকে জানিয়েছেন, তিনি হরিয়ানার পানিপথে গিয়ে হেনস্থার শিকার হওয়া বাঙালি শ্রমিকদের সঙ্গে দেখা করেছেন। বাইরের রাজ্যে বাঙালি পরিযায়ীদের কাজ করার স্বাধীনতা, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে বলে আর্জি জানান। রাজ্যে রাজ্যে এই বিষয়টি নিয়ে কথা বলা উচিত বলে মনে করেন বহরমপুরের প্রাক্তন সাংসদ।
Adhir Chowdhury রাষ্ট্রপতির কাছে পেশ করা স্মারকলিপিতে অধীর আরও জানিয়েছেন, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অভিযোগ উঠে আসছে, পশ্চিমবঙ্গের হাজার-হাজার শ্রমিকদের তাঁদের শারীরিক চেহারা, ভাষা ও খাদ্যাভ্যাসকে অজুহাত করে বাংলাদেশি বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। ফলে তাঁদের আটক, মারধর, এমনকী কিছু ক্ষেত্রে জোরপূর্বক বাংলাদেশে ঠেলে পাঠানোর ঘটনাও ঘটছে। তিনি জানিয়েছেন, মহারাষ্ট্র, গুজরাট, হরিয়ানা, দিল্লি, রাজস্থান সহ বিভিন্ন রাজ্যে গিয়ে কাজ করছেন বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকরা। তাঁরা সংশ্লিষ্ট রাজ্যের অর্থনীতি ও রাজস্ব বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখলেও বারবার ‘অবৈধ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী’ তকমা দেওয়া হচ্ছে। তাঁদের হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। পুলিশি হেনস্থায় বহু শ্রমিককে আতঙ্কে কর্মস্থল ছেড়ে পালাতে বাধ্য হতে হচ্ছে। অধীর চৌধুরি দাবি করেছেন, ভারতীয় সংবিধানের ১৯ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রতিটি নাগরিকের যে কোনও রাজ্যে বসবাস ও জীবিকা নির্বাহ করার অধিকার রয়েছে। যা লঙ্ঘিত হচ্ছে। অবিলম্বে বাংলাভাষী পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর দমনপীড়ন বন্ধ করার জন্য রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপ চেয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য, এদিনই মুর্শিদাবাদের ১৩ জন শ্রমিককে উত্তর প্রদেশ থেকে ফেরানো হয়েছে। সেখানে তাঁদের হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে বলে ওই পরিযায়ী শ্রমিকদের অভিযোগ।
এদিকে, বহরমপুরের পাঁচ বারের সাংসদকে অনেক দিন পরে দিল্লির দরবারে দেখে খুশি অধীর ভক্তরা।