Adhir Chowdhury: পঞ্চায়েতে দুর্নীতি নিয়ে নবান্নকেই দুষলেন অধীর

Published By: Madhyabanga News | Published On:

মধ্যবঙ্গ নিউজ ডেস্কঃ পঞ্চায়েতে দুর্নীতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কড়া নির্দেশের পর নবান্নকেই দুষলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। রবিবার বহরমপুরে অধীর বলেন, ” পঞ্চায়েতে পঞ্চায়েতে চোর ধরো জেলে ভরো বলার আগে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তাকে নিজে স্বীকার করতে হবে যে এতদিন ধরে পঞ্চায়েতে চুরি হয়েছে। নাহলে একথা কেন আসছে?”।
মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে অধীর বলেন, ” বাংলার মুখ্যমন্ত্রী নিজেই পরামর্শ দিয়েছিলেন যে যেখানে যা রোজগার হবে পার্টিকে দাও নিজেও কামাও। সে কথাগুলোর কি হবে! আসলে পঞ্চায়েতে চোর না ধরো বলে নবান্নে চোর ধরো স্লোগান দিলে মনে হয় বেশি ভালো হতো। কারন নবান্নের অনুমতি ছাড়া পঞ্চায়েতে চুরি কি করে ধরা পড়বে! পঞ্চায়েতে যে চুরি হয় সেটা কি নবান্ন জানত না? আজ উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপিয়ে এতদিন যাদের প্রশ্রয় দিয়েছে তাদের চোর বানানোর প্রচেষ্টা কেন ? পঞ্চায়েত তো চুরি করেই সেটা সবাই জানে , এটার মধ্যে নতুনত্ব কিছু নেই. ঘরের টাকা চুরি হয়, বিধবা ভাতার টাকা চুরি হয়, ১০০ দিনের কাজের টাকা চুরি হয়, কিসে চুরি হয়না পঞ্চায়েতে? পঞ্চায়েতে শুধু ভোটের আগে টিকিট পেতে ক্যান্ডিডেট কে ১০ লক্ষ টাকা, ১৫ লক্ষ টাকা , ২০ লক্ষ টাকা দিতে হয়। দিদি কি জানে না? একটা প্রধান হতে গেলে ঘুষ দিতে হয় ৫০ থেকে ৬০ লক্ষ টাকা। পঞ্চায়েতের কামানোর উপরে ১ কোটি, ২ কোটি ৩ কোটি । জেলা পরিষদের সভাধিপতি হতে গেলে আরো কোটি কোটি টাকা লাগে। এত সিস্টেম আছে, পার্টির মধ্যে নিয়ম আছে, পঞ্চায়েতের প্রধানের এত রেট, পঞ্চায়েত সমিতির এত রেট, মিউনিসিপ্যালিটির কাউন্সিলরের রেট, মিউনিসিপ্যালিটির চেয়ারম্যানের রেট, ভেলা পরিষদের সভাধিপতি রেট, রেট এখানে ঠিক করা আছে একদম। স্বাভাবিক ভাবেই আজকে এইসব কথা বলা মানেই ভূতের মুখে রাম নাম এর মতো শোনাচ্ছে আমার কাছে। কারন, চুরি হয়েছে নবান্নের আশ্রয়ে, নবান্নের প্রশ্রয়ে। নবান্ন নিয়ে স্বীকার করুক যে হ্যা আমরা চুরিতে মদত দিয়েছি। তৃণমূলের সরকারের আমলে পঞ্চায়েতে টিকিট পাওয়া থেকে আরম্ভ করে পঞ্চায়েতের প্রধান হওয়া থেকে আরম্ভ করে জেলা পরিষদ, মিউনিসিপ্যালিটির মাথা হতে গেলে নোটের ছাতা নিয়ে দিদির দলের দরবারে হাজির হতে হবে, তার জন্যে রেট ঠিক করা আছে একদম। পুলিশ সব জানে, নেতা সব জানে, দিদি সব জানে” ।