নিজস্ব সংবাদদাতা, বহরমপুরঃ খাগড়াঘাট স্টেশনে বৃহস্পতিবার সকালে নিত্যযাত্রীদের মুখোমুখি হন বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরী। সেখানেই তাঁকে ঘিরে ধরে তাঁদের প্রয়োজনীয় তিন দাবি তোলেন নিত্যযাত্রীরা। তাঁদের সেই দাবি হোয়াটস অ্যাপে পাঠানোর জন্য বলেন প্রাক্তন রেল প্রতিমন্ত্রী।
রেলের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে পিএসি কমিটির সদস্যরা সালার থেকে আজিমগঞ্জ পর্যন্ত বিভিন্ন স্টেশন পরিদর্শনে যাবেন। থাকবেন পিএসির চেয়ারম্যান অধীর ও। সেই উপলক্ষে খাগড়াঘাট স্টেশন থেকে সালার যাওয়ার ট্রেন ধরতে স্টেশনে আসেন সাংসদ। তখনই তাঁকে ঘিরে ধরেন খাগড়াঘাট স্টেশনের নিত্য যাত্রীরা।
তাঁরা দাবি করেন কাটোয়ামুখী ট্রেনগুলিকে দু’নম্বরের পরিবর্তে এক নম্বর প্লাটফর্ম দিয়ে চালাতে হবে। এক নম্বর থেকে দু নম্বর প্লাটফর্মে যাওয়ার জন্য একটি চলমান সিঁড়িরও প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে তাঁরা বহরমপুর স্টেশনের উদাহরণ তুলে ধরে বলেন, “বহরমপুর স্টেশনে চলমান সিঁড়ি থাকায় অসুস্থ ও বয়স্কদের স্টেশন পারাপারে সুবিধা হয়ছে। সেইরকম চলমান সিঁড়ি খাগড়াঘাট স্টেশনেও প্রয়োজন।”
হাওড়া ডিভিসনের আজিমগঞ্জ কাটোয়া লাইনে সকাল নটা পনেরোর পরের ট্রেন বেলা এগারোটায়। এর মাঝখানে কোনও ট্রেন না থাকায় অফিসযাত্রীরা হয় সময়ের অনেক আগে কিংবা অনেক পরে অফিসে পৌঁছান। স্বাস্থ্যকর্মী, পঞ্চায়েত কর্মী থেকে স্কুল শিক্ষকদের কার ও গন্তব্যস্থল কর্ণসূবর্ণ, কার ও চৌরিগাছা, কারও সালার। তাঁদের কথা মাথায় রেখে সকাল দশটায় আজিমগঞ্জ কাটোয়া লাইনে রেল যদি একটা ট্রেন চালায় তাহলে তাঁদের সুবিধা হয়। শিক্ষক সুব্রত পাল বলেন, “অধীরবাবু মন দিয়ে আমাদের কথা শুনেছেন। তাঁর হোয়াটস অ্যাপ নম্বর দিয়ে বলেছেন দাবিগুলি লিখিত আকারে তাঁকে জানাতে।” সূত্রের দাবি, বেলা বারোটায় হাওড়া ডিভিসনের ডিআর এমকে সঙ্গে নিয়ে খাগড়াঘাট স্টেশনে আজকেই নিত্যযাত্রীদের দাবি খতিয়ে দেখবেন প্রাক্তন রেল প্রতিমন্ত্রী।