মধ্যবঙ্গ নিউজডেস্কঃ ক্যাশ ফর কোয়েশ্চন কান্ডে কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্র-এর সাংসদ পদ খারিজের সুপারিশ করেছে লোকসভার এথিক্স কমিটি। শুক্রবার লোকসভায় শীতকালীন অধিবেশন চলাকালীন কৃষ্ণনগরের সাংসদের বিরুদ্ধে ১০৬ পাতার রিপোর্ট জমা পড়েছে বেলা বারোটায়। স্পিকার ওম প্রকাশ বিড়লা দুপুর দুটোয় রিপোর্টের উপর আলোচনা করার নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশ শোনার পর বিশদে রিপোর্ট পড়তে ৪৮ ঘন্টা সময় চেয়ে স্পীকারকে অনুরোধ করেন। তার পাশাপাশি বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরীও এথিক্স কমিটির রিপোর্ট পড়তে চেয়ে সময় চেয়েছেন স্পীকারের কাছে। তিনি বলেন,”এত বড় চিঠি এত কম সময়ে পড়া সম্ভব নয়। ভাল করে পড়ে এটা নিয়ে চর্চা করা উচিত। আদালতেও কারও সাজা হলে বিচারক আসামির বক্তব্য শোনেন। কারও বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ থাকলে, তাঁকে বলার সুযোগ দেওয়া উচিত।”
এর আগেও একাধিকবার মহুয়ার পাশে দাঁড়িয়েছেন বহরমপুরের সাংসদ। বহরমপুরে জেলা কংগ্রেস কার্যালয়ে চলতি মাসের সাংবাদিক সম্মেলনে এথিক্স কমিটির কার্যপ্রণালী নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তুলেছিলেন অধীর।লোকসভার স্পিকারকে চিঠিও দিয়েছিলেন তিনি। এমনকি এথিক্স কমিটির তৎপরতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। সেই সময় অধীর বলেন, “আমাদের কমিটির শর্ত হল আমাদের কমিটির কথা বাইরে প্রকাশ করা যায় না। আমরা অনেক সেনসেটিভ বিষয় নিয়ে কাজ করি, সেখানে ভারতের আর্মি আছে, অনেক অনেক বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনা করি। কিন্তু এখানে প্রথম দিন থেকে একটা করে মিটিং হচ্ছে তারপর চেয়ারম্যান তার দলের নেতাদের নিয়ে এসে বাইরে ঘোষণা করছেন একটা এমপির বিরুদ্ধে কী কী করা হবে, না হবে। এটা একটা অনৈতিক কাজ বলে আমি মনে করি”।
সংসদের একজন সদস্যকে এভাবে অপমান করা হচ্ছে বলেও সেদিন সরব ছিলেন অধীর। মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে প্রমাণ নিয়ে সেদিন অধীর বলেছিলেন, “ ২০০৫ সালে পার্লামেন্ট থেকে ৫ জন সাংসদকে বহিষ্কার করা হয়েছিল দেখা গিয়েছিল তাঁরা টাকা নিচ্ছে। কিন্তু, এখানে কোন প্রমান আছে ?”।