Abol Tabol: একশো বছরে ‘আবোল তাবোল’, বহরমপুরে মুক্তধারার অনুষ্ঠান

Published By: Madhyabanga News | Published On:

মধ্যবঙ্গ নিউজ ডেস্কঃ সুকুমার রায়ের লেখা আবোল তাবোল অতীব গুরুত্বপূর্ণ বই। ছোট-বড় সবার মহৎ সাহিত্য। ছোটরা ছোটবেলায় এক রকম আবোল-তাবোল পড়ে । বড় হয়ে আরেকরকম পড়েন । সোমবার সন্ধ্যায় বহরমপুর রবীন্দ্রসদন প্রেক্ষাগৃহে বলছিলেন শিশু সাহিত্যিক পার্থজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। উপলক্ষ, ‘আবোল তাবোলের’ শতবর্ষ উদযাপন । বহরমপুর এর মুক্তধারা সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্র ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সেখানে শিশু- বড় সবাই মিলে অন্য সুকুমার, অনন্য সুকুমার আলেখ্য অনুষ্ঠান করেন। পার্থজিৎবাবু শিশুসাহিত্য নিয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেন। তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ছোটদের সাহিত্যে দেখা যাচ্ছে, ছোটদের ক্ষতিকর এমন সব দেদার আয়োজন। শিশুদের মানুষ হওয়ার জন্য নৈতিকতা সমৃদ্ধ শিশু সাহিত্যে গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি।

তিনি অনুষ্ঠানে সুকুমার রায়ের বিভিন্ন লেখা তুলে ধরেন। উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী থেকে তাঁদের পরবর্তী প্রজন্মের পারিবারিক সাহিত্য চর্চার ঐতিহ্যের কথা তুলে ধরেন। বিখ্যাত সন্দেশ পত্রিকার কথা উঠে আসে । সুকুমার রায়ের লেখা শুধু সাহিত্য নয়। সমাজ সচেতনতার বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে । এই বিষয়ে মুক্তধারার সদস্য হৈমন্তী ভট্টাচার্য বলেন, আবোল-তাবোল শুধু ছোটদের কবিতা হিসেবে নয়, যে সামাজিক-রাজনৈতিক অর্থ আছে তা আবিষ্কার করার জন্য এই অনুষ্ঠান।
এদিনের অনুষ্ঠানে সুকুমার রায়ের বিভিন্ন লেখার প্রসঙ্গ উঠে আসে। কীভাবে একুশে আইন লিখে তিনি কৌশলে কার্যত জেহাদ ঘোষণা করেছিলেন পার্থজিৎবাবুর কথায় সেই প্রসঙ্গ উঠে আসে । খোকা ঘুমালো পাড়া জুড়ালো হোক বা বিদ্যেবোঝাই বাবুমশাই, শিশুদের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে দৈনন্দিন জীবনে জড়িয়ে যাওয়া সুকুমার রায়ের কবিতার তাৎপর্য পার্থজিৎবাবু তাঁর নিজস্ব ভঙ্গিতে উল্লেখ করেন।