মধ্যবঙ্গ নিউজ ডেস্কঃ ১৩ই আগস্ট বুধবার, বহরমপুর রবীন্দ্র সদনে শুরু হয় লোকশিল্পীদের নিয়ে কর্মশালা। প্রথমদিনে জেলার বিভিন্ন প্রান্তের আলকাপ শিল্পীরা এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছিলেন। জেলা তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের উদ্যোগে, লোকসংস্কৃতি ও আদিবাসী সংস্কৃতি কেন্দ্রের আয়োজনে বহরমপুরের লোকশিল্পীদের এই কর্মশালায় জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শিল্পীরা এসেছিলেন। এদিন রবীন্দ্র সদনে উপস্থিত ছিলেন জেলা তথ্য সংস্কৃতি আধিকারিক সহ বিশিষ্টজনেরা।
দ্বিতীয় দিনে, চেনা গণ্ডীর বাইরে গিয়ে আলকাপ শিল্পীরা এবার সামাজিক উন্নয়নের বার্তা বাহক। আলকাপ ও রূপবান কর্মশালার দ্বিতীয় দিনে আলকাপ পালা বহরমপুর রবীন্দ্র সদনে। কীভাবে আলকাপের মূল ধারা বজায় রেখে মঞ্চে আলকাপ করবেন শিল্পীরা, সামাজিক উন্নয়নে এই লোকশিল্পীদের ভূমিকা কী হবে? এই নিয়ে বুধবার বহরমপুর রবীন্দ্র সদনে শুরু হয়েছে নিয়ে লোকশিল্পীদের নিয়ে কর্মশালা। প্রথমদিনে জেলার বিভিন্ন প্রান্তের আলকাপ শিল্পীরা এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছিলেন। দ্বিতীয় দিনে বিভিন্ন সমাজ সচেতনতামূলক বার্তা নিয়ে আলকাপ মঞ্চস্থ করলেন আলকাপ শিল্পীরা।
তৃতীয় দিন অর্থাৎ অন্তিম দিনে মঞ্চে বাজছিল সানাই। পাশেই বাজছে খঞ্জনি। গ্রাম বাংলার অতি পুরনো বাদ্যযন্ত্রের সাথে রবীন্দ্র সদনের মঞ্চে উপস্থাপিত করা হল মুর্শিদাবাদের লুপ্তপ্রায় শিল্প রূপবান পালা। এক সময়ে এই পালা দেখতে ভিড় করতেন গ্রামের মানুষ। বসত মেলা। কিন্তুঅন্তিম দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা। এছাড়াও মোট পঞ্চাশজন লোকশিল্পীরাও।
বুধবার থেকে বহরমপুর রবীন্দ্র সদনে চলছিল আলকাপ ও রূপবান শিল্পীদের নিয়ে কর্মশালা। কর্মশালার শেষদিন বহরমপুর রবীন্দ্রসদনে রূপবান পরিবেশন করলেন শিল্পীরা। বেজে উঠল সানাই, হারমোনিয়াম। নাচে গানে ফিরে এল হারিয়ে যাওয়া দিন। শিল্পীরা জানালেন, নেহাত বিনোদন নয়। রূপবান পালার সাথে জড়িয়ে রয়েছে সমাজ সচেতনতা, ইতিহাস। এছাড়াও এই তিনদিন ব্যাপি ওয়ার্কশপের মধ্যদিয়ে উঠে আসে আলকাপ এবং রূপবানের মতন বিলুপ্ত হতে চলা লোকশিল্পকে কিভাবে বাঁচিয়ে রাখা যায়। এবং পরবর্তীতে কীভাবে এই রূপবান পালাকে আরও বড় আকারে রাজ্যের মানুষের কাছে ছড়িয়ে দেওয়া যায় সেই নিয়েই অন্তিম দিনের আলোচনা সভা বসেছিল।