নিজস্ব সংবাদদাতা, বেলডাঙাঃ অত্যন্ত সৌখীন ও মূল্যবান উপাদান কেশর। যার রঙ ও গন্ধের জুরি মেলা ভার। বাজারে বিভিন্ন ভেজাল থাকলেও, কাশ্মীরের কেশরের তুলনা নেই কোনও। মুর্শিদাবাদ জেলার মাটিতে সেই অথেন্টিক কেশর ফলিয়ে তাক লাগিয়েছেন, বেলডাঙ্গার এক স্কুল মাস্টার। স্কুল শিক্ষকতা তাঁর পেশা বটে। কিন্তু নেশা চাষবাস। এর আগেও বাড়ির বাগানে আপেল ফলিয়ে নজর কেড়েছিলেন তিনি। কৃষিপ্রধান জেলা মুর্শিদাবাদে অধিকাংশের পেশা চাষবাস। কিন্তু চাষবাসকে একরকমভাবে চ্যালেঞ্জ করছেন তিনি। যে ফসল জেলার মাটিতে কখনও হয়নি, তাই ফলানোর চেষ্টায় গবেষণা করছেন। আর পাচ্ছেন সাফল্যও। তিনি বেলডাঙ্গার রূপেশ দাস। এবারে শীতের মরশুমে বহুমূল্যবান কেশর ফলিয়ে জেলায় চাষবাসের নতুন দিশা দেখাচ্ছেন তিনি।
রূপেশ জানাচ্ছেন, আবহাওয়া সম্পর্কে সচেতনতা এবং গাছগাছড়া সম্পর্কে তথ্য থাকলেই কেশর চাষ করা যেতে পারে নিজের বাড়ির বাগানে বা টবে, তা সে কাশ্মীরই হোক বা বেলডাঙার বাড়ির বাগান। তিনি বলছেন, ‘‘১২ গ্রাম মতো কেশর চারা পেলেই ঠিক মতো চাষ হতে পারে। তার পরে সেই গাছে ফুলও আসতে পারে অনায়াসে। এই চাষ করে ৩ বছরের মধ্যে মিলবে লাভও।’’
বেলডাঙ্গার মাটিতে এর আগে কাশ্মীরের আপেল চাষ করে সাফল্য পেয়েছিলেন। এবারে মূল্যবান কেশরচাষের দিশা দেখাচ্ছেন তিনি। এর পর কী? তা বলবে রূপেশের চাষবাসের অভিনব গবেষণা। আগামী দিনে আরও বেশি মানুষকে বহুমূল্য কেশর চাষে উৎসাহিত করার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন বেলডাঙার এই স্কুল শিক্ষক।