নিজস্ব সংবাদদাতা, বহরমপুরঃ আগামী দিনে পঞ্চায়েত কেমনভাবে চলবে তার দিকনির্দেশ দিতেই বৃহস্পতিবার ভাকুড়ি ২ পঞ্চায়েত ভবন চত্বরে বসেছিল গ্রামসভা। জল নিকাশী ব্যবস্থা, বেহাল রাস্তা ঘাটের কথা, শুদ্ধ পানীয় জলের পাশাপাশি আইসিডিএস কেন্দ্রের ঘাটতির কথাও সেই সভায় পঞ্চায়েত প্রতিনিধিরা তুলে ধরেন।স্ত্রী-পুরুষ মিলিয়ে ভাকুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রায় তিরিশ হাজার মানুষের বসবাস। সাক্ষরতার হার প্রায় ৯৭ শতাংশ।তবে আটটি মৌজার মধ্যে পাঁচটিই পিছিয়ে। কোথাও পথবাতি নেই, কোথা নেই পানীয় জলের ব্যবস্থা, কোথাও আবার কাঁচা রাস্তায় পরেনি পিচের প্রলেপটুকুও।পঞ্চায়েতে নেই খেলার মাঠ।
তবে সেই মাঠ কেনার ক্ষমতা পঞ্চায়েতের নেই বলেও জানিয়ে দিয়েছেন ওই পঞ্চায়েতের সচিব পার্থ সাহা। বিদ্যুতের আলোর বদলে সৌর বিদ্যুৎ ব্যাবহার করা যায় কী না সে বিষয়েও আলোচনা হবে বলে জানান সচিব। এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন গ্রামবাসীরাও। একটি স্বেচ্ছাসেবি সংস্থার পক্ষ থেকে জনা কয়েক কিশোর কিশোরী তাদের গ্রামের একাধিক অসুবিধার কথা তুলে ধরে। নতুন পঞ্চায়েত গঠনের পর এদিন এটিই ছিল প্রথম গ্রাম সভা। ওই সভায় তৃণমূলের ১৪ জন সদস সহ বিরোধী সাত জন ও উপস্থিত ছিলেন। দুই পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যও উপস্থিত ছিলেন। প্রধান চামেলী বিবি বলেন, “সকলকে নিয়েই আমরা পঞ্চায়েতের কাজ কর্ম চলবে।
পঞ্চায়েত চালাতে গ্রামবাসীদেরও সহযোগিতা চাই।” উপপ্রধান দিব্যেন্দু মন্ডল বলেন, “পঞ্চায়েতের যে সব খামতি রয়েছে সেই সব খামতি একশো শতাংশ মেটানোর চেষ্টা করা হবে। তাতে কম করে ৮০ শতাংশ দাবি মেটানো সম্ভব হবে।” তিনি আরও বলেন, “বিরোধীরা যদি নিন্দুকের ভূমিকায় থাকতে চান তাহলে কিছু করবার নেই। সকলের মতামত নিয়েই এই পঞ্চায়েত চলবে।ভাকুড়ি ২ পঞ্চায়েত সমদৃষ্টিতে চলবে, দ্বিচারিতার কোনও জায়গা নেই।” পশ্চিমগামিনী ২ এর বিজেপি সদস্য তথা ওই পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা শুভাশিস দাস বলেন, “এদিনের গ্রামসভা যেমন সুন্দরভাবে হয়েছে তেমনিভাবেই আগামী চার বছরও চলবে বলে আশা করি।” তবে ওই পঞ্চায়েতে শাসকদলের একাংশ অঞ্চল সভাপতিদের বিরুদ্ধে পরামর্শ দেওয়ার অভিযোগ উঠলেও উপপ্রধান বলেন, “ আমাদের পঞ্চায়েতের উন্নতির জন্য উপদেষ্টা মন্ডলীও আছেন। ব্যক্তিগতভাবে কেউ পরামর্শ দিতেই পারেন। তবে কার উপদেশ নেওয়া হবে আর কার উপদেশ নেওয়া হবে না তা পঞ্চায়েত বোর্ড ঠিক করবে। আমরা আলোর দিশারী।”