সুকান্ত বেরা, কান্দিঃ ভুয়ো জামিনের নথি দেখিয়ে কান্দির নিম্ন আদালত থেকে মক্কেলকে জামিন পাইয়ে দিয়েছিলেন আইনজীবী। সেই অপরাধে এবার তাঁকেই শ্রীঘরে পাঠাল আদালত। ২০১৫ সালের ১২ এপ্রিল ভরতপুর থানার হরিশ্চন্দ্রপুরে আশরফ শেখ নামে এক যুবককে বোমা মেরে খুনের অভিযোগ উঠেছিল লালু শেখের বিরুদ্ধে। শুনানি শেষে ২০১৮ সালের ৩১ শে জানুয়ারি আদালত লালুকে যাবজ্জীবন কারাবাস ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে। অনাদায়ে আরও ছ’মাস কারাবাসের নির্দেশ দেওয়া হয় তাঁকে। এরপর বাবাকে হাজত থেকে ছাড়াতে মাঠে নামে লালু সেখের ছেলে লাবু সেখ। সটান কলকাতা হাইকোর্টের দরজায়। সেখানে আইনজীবী অরিন্দম রায়ের সঙ্গে শলা করে তৈরি করে হাইকোর্টে জামিন প্রাপ্তির ভুয়ো নথি।
২০২১ সালের ৬ ই মার্চ কান্দি আদালত সেই ভুয়ো নথির ভিত্তিতে খুনের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত বন্দিকে জামিনে মুক্তি দেয়। সেই ঘটনায় কাটোয়া থেকে মঙ্গলবার ওই আইনজীবীকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। তাঁকে বুধবার আদালতে তোলা হলে আদালত ধৃত আইনজীবীকে ১৪ দিনের সিআইডি হেফাজতের নির্দেশ দেয়। উল্লেখ্য, জরিমানা সেখানে তাঁর দাবি ছিল, আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট তাঁকে জামিনে মুক্তি দিয়েছে। কান্দি আদালত লালুর জামিন মঞ্জুর করে ওই নথির ভিত্তিতে। সম্প্রতি নথি জালের অভিযোগ ওঠায় হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ ঘটনার সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেন। প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় লালু শেখের ছেলেকে কিছুদিন আগে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। সিআইডি সূত্রে আরও জানা গিয়েছে ধৃত আইনজীবীই হাইকোর্টের জাল সার্টিফিকেট বের করে লালু শেখকে জামিনে মুক্তি দিতে সহায়তা করেছিলেন।