নিজস্ব সংবাদদাতা, ধুলিয়ানঃ শিশুশ্রমিক উদ্ধার করতে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জের পুরাতন ডাকবাংলা, ধুলিয়ান সহ বেশ সহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হল। বৃহস্পতিবার বিকেলে কয়েকটি হোটেলে, ফ্যাক্টরিতে অতর্কিতে হানা দিয়ে ছয়জন শিশু শ্রমিককে উদ্ধার করেন তাঁরা।
শিশু সুরক্ষা আধিকারিক উজ্জ্বল সাহা জানান, “সামশেরগঞ্জ, ধুলিয়ান মিলিয়ে মোট তিন জায়গার দুটি হোটেল, বিড়ির কারখানা এবং হলুদের কারখানা থেকে মোট ৬টি বাচ্চাকে আমরা রেসকিউ করলাম। এরা সবাই চোদ্দ বছরের নীচে। এদেরকে আমরা চেষ্টা করব মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনার। পড়াশোনার ব্যবস্থা করার।”
হোটেল থেকে ফ্যাক্টরী, জেলার বিভিন্ন জায়গায় এখনও শিশু শ্রমিকের রমরমা। যদিও ২০০৫ সালে ভারতীয় সংবিধান আইন করে এই কাজকে বেআইনি ঘোষণা করে। কিন্তু আজও রাস্তা ঘাটে সব জায়গাতেই দেখা যায় শিশু শ্রমিক। ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশনের তথ্য অনুযায়ী আজও ভারতের ৫ থেকে ১৪ বছর বয়সী প্রায় ১১ মিলিয়ন শিশু শ্রমিক রয়েছে।
শিশু শ্রমিক একটি সামাজিক রোগ। সচেতনতা ছাড়া এই রোগের কোনও পথ্য নেই। সেই শিশু শ্রমের ছবি দেখা গেল মুর্শিদাবাদ জেলাতেও। শিশু শ্রমিক বন্ধ করতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে যৌথভাবে হানা দিল চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটি, জেলা শিশু সুরক্ষা দপ্তর ও জেলা শ্রম দপ্তর।
চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির চেয়ার পার্সন সোমা ভৌমিক জানান, “আমাদের চাইল্ড হেল্পলাইনে ফোন এসেছিল। আমাদের কাছে পাঁচটা সাব-ডিভিশানেরই ইনফরমেশান আমাদের কাছে ছিল। এটা পঞ্চমতম দিন। এবং আজকে আমরা এখানে এসেছিলাম। এর আগেও আমরা বাচ্চাদের বাঁচিয়েছি। আমরা চাইব বাচ্চাদের ওপর কোনরকমের অত্যাচার যেন না হয়। এবং যেভাবে সম্ভব ওদের মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা।”
এই অভিযানের সময় উপস্থিত ছিলেন চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির জেলা চেয়ারপার্সন সোমা ভৌমিক, জেলা শিশু সুরক্ষা কার্যালয়ের প্রাতিষ্ঠানিক দায়িত্ব প্রাপ্ত আধিকারিক এবং শ্রমদপ্তরের আধিকারিক বিতান দে সহ অন্যান্য প্রশাসনিক কর্মকর্তারা।