Migrant Workers তামিনাড়ুতে কিডন্যাপ মুর্শিদাবাদের ৮ ! কী হল তারপর ?

Published By: Imagine Desk | Published On:

Migrant Workers  ভিন রাজ্যের কাজে গিয়ে এবার অপহরণের শিকার রাজ্যের ১০  জন পরিযায়ী শ্রমিক। ১০  জনের মধ্যে ৬ জন মুর্শিদাবাদের  নবগ্রামের এবং ২ জন বহরমপুরের বাসিন্দা । বাকি ২  জন বীরভূমের রামপুরহাট Rampurhaat  লাগোয়া এলাকার বাসিন্দা । পুলিশ সূত্রে খবর,  তামিলনাডুর সালেম Salem শহর থেকে অপহরণের ৬ ঘণ্টার মধ্যে শুক্রবার সন্ধেয় শ্রমিকদের উদ্ধার করে  তামিলনাডু পুলিশ ।  জানা গিয়েছে , সালেম স্টেশনে নামার পরেই অপহরণ করা হয় ওই শ্রমিকদের।  শুক্রবার দুপুর ১টা থেকে ২টোর মধ্যে অপহরণের ঘটনা জানতে পারেন নবগ্রামের শ্রমিকদের   পরিবারের সদস্যরা । চাওয়া হয় মুক্তিপণ।  তাঁরা যান নবগ্রাম থানায়। তামিলনাড়ু পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে রাজ্য পুলিশ। সন্ধ্যায় উদ্ধার করা হয় ওই শ্রমিকদের।

 

লালবাগের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাসপ্রীত সিংহ জানিয়েছেন, তামিলনাডু পুলিশ অপহৃতদের উদ্ধার করেছে। তবে এখনো স্পষ্ট নয় কতজন এই ঘটনায় জড়িত এবং কতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

Migrant Workers বুধবার সবাই একসঙ্গে বাড়ি থেকে রওনা দেন । তাঁদের মধ্যে কেউ বিস্কুট কারখানায় কাজ করতে যাচ্ছিলেন, কেউ আবার রাজমিস্ত্রির কাজে।

নবগ্রাম থেকে অপহৃত হন নয়দেব বেহারা, তাঁর দুই পুত্র কার্তিক ও সূর্য বেহারা, একই পরিবারের জীতেন বেহারা ও তাঁর ছেলে, তাঁদের প্রতিবেশী দীপু বেহারা। এছাড়া বহরমপুরের বাসিন্দা বিনয় দাস ও তাঁর ছেলে সন্দীপ দাস, যাঁরা তাঁদের আত্মীয়, তাঁরাও অপহৃত হন। শুক্রবার দুপুর ১টা থেকে ২টার মধ্যে নবগ্রামের আত্মীয়-স্বজনরা ফোনে জানতে পারেন যে তাঁদের পরিবারের লোকজনকে অপহরণ করা হয়েছে। এরপর তাঁরা নবগ্রাম থানায় ছুটে যান এবং ওসি ইন্দ্রনীল মহান্ত বিষয়টি পুলিশ সুপার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে জানান। পুলিশের তৎপরতায় মোবাইল টাওয়ার লোকেশন পরীক্ষা করে দেখা যায়, অপহৃতরা তামিলনাডুর সালেম শহরের আশপাশে রয়েছেন। নবগ্রাম থানার পক্ষ থেকে সেখানকার পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় এবং পুলিশ সুপারও জেলা পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করেন। দ্রুত তামিলনাডু পুলিশের একটি দল টাওয়ার লোকেশন ধরে অভিযান চালায়।

Migrant Workers  অপহৃত নয়দেব বেহারার স্ত্রী আদরী জানান, সকাল ১০টা নাগাদ তাঁর বড় ছেলে কার্তিক ফোন করে জানায়, তারা সালেম জংশন স্টেশনে পৌঁছানোর পর একটি গাড়িতে করে তাঁদের কাজের জায়গায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে তুলে নেওয়া হয়। কিছুক্ষণ পর তাঁদের একটি ঘরে আটকে মারধর শুরু হয়। স্বামীর মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় এবং ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। টাকা না দিলে তাঁদের ছাড়বে না বলে জানানো হয়। এরপর কার্তিককে দিয়ে বারবার ফোন করানো হয়, যা তিনি নবগ্রাম থানায় এসে জানান।

Migrant Workers  অন্যদিকে, অপহৃত জীতেনের মা লালমণি বেহারা বলেন, তাঁর নাতি ফোন করে অপহরণের কথা জানালেও নির্দিষ্ট অবস্থান জানাতে পারেনি। অপহরণকারীরা ৪০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে এবং তাঁদের ওপর নির্যাতন চালায়। নিরুপায় হয়ে তিনিও নবগ্রাম থানায় অভিযোগ জানান।