রিয়া সেনঃ বহরমপুরঃ ২৮ সেপ্টেম্বরঃ বুধবার সাত সকালেই বহরমপুর মহিলা থানায় এলেন রানিনগরের নির্যাতিতা মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী । কিন্তু কেন ? প্রশ্ন জল্পনায় তোলপাড় মুর্শিদাবাদের শাসক দলের অন্দর । সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ রানিনগর থানার নোয়াপাড়া বর্ধনপুর গ্রামের বাড়ি থেকে রওনা দেন WB58BJ5483 নম্বরের কালো স্করপিও গাড়িতে করে । সাথে ছিলেন দুই ছেলে । মাঝে মুর্শিদাবাদ পৌরসভার আস্তাবল মাঠের কাছে তৃণমূল কর্মী টিংকু মণ্ডলের বাড়িতে হয় গোপন বৈঠক।
এরপর কালো স্করপিও গাড়িতেই সোজা রওনা দেন বহরমপুরের দিকে । ঠিক সকাল ৮ টা ৩৫ নাগাদ ওই মহিলা নেত্রীকে দুই ছেলেকে নিয়ে ঢুকে গেলেন মহিলা থানার ভিতরে । তার জন্য অপেক্ষারত ছিলেন মহিলা থানার ওসি । শুরু হল দফায় দফায় আলোচনা । ন’টা পাঁচ নাগাদ মহিলা থানার ওসি’র গাড়িতে ওই মহিলা নেত্রীকে নিয়ে যাওয়া হয় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে । সেখানেও বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা । তারপর মাতৃমা’এ হয় শারীরিক পরীক্ষা । এরপরেই ফের ওই নেত্রীকে নিয়ে যাওয়া হয় বহরমপুরে মহিলা থানায়।
তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর, ওই মহিলা গত ২৬ তারিখ রানিনগর ২ ব্লক তৃণমূল সভাপতি শাহ আলমের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন এদিন সকালে মহিলা থানায় এসে তিনি তা প্রত্যাহারের ইচ্ছে প্রকাশ করেন । এখানেই প্রশ্ন উঠেছে কেন ওই মহিলা তৃণমূল নেত্রীর ভোলবদল ? এর পিছনে রয়েছে কি কোন চাপ ? কেন ওই মহিলা নেত্রী রানিনগর থানার প্রতি আস্থা হারিয়ে জেলা পুলিশ সুপারের দারস্থ হয়ে বহরমপুর মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন আবার তা প্রত্যাহারও করতে চাইলেন । মঙ্গলবার রাত ১০ টার পর কী এমন ঘটল যাতে ওই মহিলা নেত্রী তাঁর অভিযোগ থেকে পিছিয়ে এলেন ? প্রশ্ন উঠেছে রানিনগর থানার পুলিশের ভূমিকা নিয়েও।