সোমবার রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বড় রায় দিয়েছে আদালত। ২০১৬ সালের সম্পূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে বাতিল হয়ে গিয়েছে ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি। বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চের এই রায়ে কার্যত ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। সোমবার এই প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন,” কোর্টের রায় এর উপর দিয়ে তো কিছু বলতে পারি না, আমরা চাই কেউ বঞ্চিত না হোক। যা হবে স্বচ্ছ ভাবে হোক। স্বাভাবিক ভাবে কোর্ট যা সিদ্ধান্ত নেবে সেখানে আমরাদের মন্তব্য চলতে পারে না। যদি কেউ মনে করে এই রায়ে সন্তুষ্ট নয় তাহলে উচ্চ আদালতে যাবে”।
অধীর এদিন বলেছেন, “পাপ করেছে এগুলো তার প্রমান হল। তৃণমূল কেন বলবে পাপের পায়শ্চিত্ত করার সুযোগ পেল, পাপ টা কে করেছে পায়শ্চিত্ত করতে হবে। এই কনফিউশন টা তৈরি করেছে কে ? এই বাতাবরন তৈরি করল কারা। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী এনিয়ে একবারও হস্তক্ষেপ করলো না কেন ?” ।
রাজ্যে দুর্নীতি নিয়েও তৃণমূলকে নিশানা করেছেন অধীর। তিনি বলেছেন, ” সবাই জানে দুর্নীতি মানেই এই সরকার। তৃণমূল মানেই দুর্নীতি আর দুর্নীতি মানেই তৃণমূল । দুর্নীতি আর তৃণমূল মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে। গোটা দলটা দাঁড়িয়ে আছে দুর্নীতির উপরে। দুর্নীতি ছাড়া বাংলায় আলোচন কিছু হয়। শিল্প নিয়ে আলোচনা হয়, স্বাস্থ্য নিয়ে আলোচনা হয়। এখানে আলোচনা হয় দুর্নীতি নিয়ে। কোন রাজ্যে আমরা বাস করছি যেখানে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত দুর্নীতি ছাড়া অন্যকোন আলোচনা নেই”।