মধ্যবঙ্গ নিউজ ডেস্কঃ বহরমপুর গোরাবাজারে ছাত্রী খুনের ঘটনায় ধৃত যুবকের ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। সোমবার রাত্রেই ঘটনার চার ঘন্টার মধ্যে সামসেরগঞ্জ থেকে সুশান্ত চৌধুরী নামের ওই যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ । মঙ্গলবার ধৃত যুবককে আদালতে পেশ করা হয়। ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ।
এবার ওই যুবককে খুনের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবে পুলিশ। ঘটনার পুনর্নিমাণ করা হতে পারে তদন্তের প্রয়োজনে। কেন খুন তাও খতিয়ে দেখবে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে যুবকের দাবি, প্রণয়ঘটিত কারণেই এই খুন। ছাত্রী ও এই যুবকের মোবাইল ফোন আটক করেছে পুলিশ। মোবাইল ফোনই তদন্তের বড় সূত্র হতে পারে বলে অনুমান।
যুবকের পরিবার সূত্রে আনা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরে মানসিক ভাবে অবসন্ন ছিল ওই যুবক। নিহত ছাত্রীর বাবা স্বাধীন চৌধুরী মালদার একটি স্কুলের শিক্ষক। তিনি জানান, “ মেয়ে জানিয়েছিল ছেলেটি রাস্তাঘাটে ওকে হুমকি দিত, ভয় দেখাতো। আমরা শুনে ইংরেজবাজারের স্থানীয় কাউন্সিলারকে জানাই। আমাদের এটা কল্পনার অতীত । ভাবতেই পারিনি”।
পুলিশ সূত্রে অনুমান, ঠান্ডা মাথায় পরিকল্পনা করেই ছাত্রীকে খুন করেছে ওই যুবক। এরপর মালদা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাও করে।
সোমবার সন্ধ্যেয় বহরমপুর গোরাবাজারে মেসের সামনে খুন করা হয় গার্লস কলেজের ছাত্রী সুতপা চৌধুরীকে। সোমবার রাতেই সাংবাদিক বৈঠক করেন মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার কে শবরী রাজকুমার। তিনি জানান, রাত প্রায় দশটা পনেরোর দিকে সুশান্ত চৌধুরী নামে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করা হয়। জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সামসেরঞ্জ থানার পুলিশ ওই যুবককে আটক করে। উদ্ধার হয় একটি ধারালো অস্ত্র, রক্তের ছাপ লাগা জামা এবং নকল বন্দুক।
ওই যুবক মালদার পাকুড়িয়া এলাকার বাসিন্দা। মঙ্গলবার ধৃতকে বহরমপুরে সি জে এম আদালতে তোলা হলে ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়।