হুমায়ুনের ‘বহরমপুর দখল’, হুঙ্কারের বিরোধিতায় কংগ্রেস, অভিযোগ ওড়াল তৃণমূল

Published By: Madhyabanga News | Published On:

হুমায়ুনের হুঙ্কারে ফের বিতর্ক জেলায়।  পৌরসভা ভোটে শাসক তৃণমূলের পাখির চোখ বহরমপুর। গত বিধানসভা ভোটে যে বহরমপুরকে কংগ্রেস, তৃণমূল থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে বিজেপি। বৃহস্পতিবার  সেই বহরমপুরে তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনী থেকে  পৌরসভা  দখলের লক্ষ্য নিয়ে কড়া ভাবে চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবির।

বৃহস্পতিবারের সভায় হুমায়ুন কবির

হুমায়ুন কবির মুখে শোনা যায়, “ বহরমপুর আমাদের চাইই চাই। কোন আপোস নয়, কোন মার্সি নয়”। হুমায়ুন বলেন, “ কুড়িটা আসন আমাদের জিততেই হবে। তার জন্য আঙুল বেঁকানোর প্রয়োজন হলে আমরা কিন্তু আঙুল বেঁকাবো। ভদ্রতা দেখিয়ে যদি না নয়, নম্রতা দেখিয়ে যদি না হয় তাহলে শক্তি প্রয়োগ করেও আমরা বহরমপুর পৌরসভা নির্বাচনে জিতবই ”।

হুমায়ুনের এই মন্তব্যের প্রতিবাদে সরব হয়েছে কংগ্রেস। শুক্রবার বহরমপুরে কংগ্রেস দপ্তরে সাংবাদিক সম্মেলন করে জেলা কংগ্রেসের মুখপত্র জয়ন্ত দাস অভিযোগ করেন, তৃণমূলের তরফ থেকে প্রচ্ছন্ন হুমকি দেওয়া হচ্ছে। জয়ন্ত বলেন তৃনমূলে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বহরমপুরবাসীকে  তীব্র ভাষায় আক্রমণ করা হচ্ছে, এটা অপমানকর, আপত্তিকর,  অসাংবিধানিক ।

শুক্রবার বহরমপুরে কংগ্রেস দপ্তরে সাংবাদিক সম্মেলন

এই বিষয় নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতিও দাবি করে কংগ্রেস। পৌরভোটের আগে  বহরমপুর শহরের মানুষের আবেগকে উস্কে প্রচারে নামারও প্রস্তুতি নিচ্ছে কংগ্রেস শিবির।

কংগ্রেসের বিরোধিতাকে অবশ্য আমল দিতে চাননি তৃণমূল কংগ্রেস। শুক্রবার  কংগ্রেসের পাল্টা সাংবাদিক সম্মেলনও করে তৃণমূল।

তৃণমূল কংগ্রেস নেতা  অশোক দাস অবশ্য সাংবাদিক সম্মেলন করে এও  বলেন, কোন কোন নেতা যে মন্তব্য করেছেন তা আমাদের দলের মন্তব্য নয়।

যদিও এর পরেই অশোক দাস  বলেন, “ একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়ে গিয়েছে বহরমপুর শহরে পুরসভা দখল করবে তৃণমূল কংগ্রেস। তাই ঘোলাজলে মাছ ধরতে নেমেছে কংগ্রেস”।

পাল্টা সাংবাদিক সম্মেলন তৃণমূলের

টাউন তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায় বলেন ঘরোয়া বিজয়া সম্মিলনী হচ্ছিল । কোন বিতর্ক নেই।  কংগ্রেস সস্তা রাজনীতি করছে। নাড়ুর দাবি কংগ্রেসের কথা অপ্রাসঙ্গিক। কোন হুমকি দেওয়া হয় নি।  দলের কর্মীদের নিয়ে বিজয়া সম্মিলনী হচ্ছিল, পাবলিক ফোরামে নয়। হুমায়ুনের বক্তব্যকে ‘পার্ট অফ পলিটক্স’ বলেই মন্তব্য করেন নাড়ু গোপাল। তৃণমূল কংগ্রেস টাউন সভাপতির  সাফাই, কর্মীদের বুস্ট আপ করার জন্য কথা বলা হয়েছে।

তবে হুমায়ুনের বুস্ট আপ বাণী আরো সাবধানী হওয়া উচিত ছিল বলেই মনে করছেন তৃণমূল কংগ্রেসের একাংশ।