প্রায় দু’বছরের পর স্কুলে পা রাখলো ছাত্র ছাত্রীরা, ততদিনে চেনা পরিস্থিতি একেবারেই পাল্টে গেছে, বাড়িতে থেকে অন লাইন ক্লাসে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছিল তাদের, স্কুলে এসে আগের মতোই কি মন বসছে?স্কুলে যদি মন না বসে ! কী করবে ছাত্রছাত্রীরা ? এই বিষয়ে লিখলেন মনোবিদ তৃষা দত্ত।
প্রায় দু’বছর পর ছাত্র ছাত্রীরা স্কুলে ফিরছে, তাদের স্বাভাবিক ভাবেই ক্লাসে বসে পড়ার অভ্যাস হারিয়ে গিয়েছে , ফলে তাদের মনোসংযোগে অসুবিধা হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যাওয়ার কথা। তাদের জন্য এটাই বলার যে। ধৈর্য্য ধরে এক-দুই সপ্তাহ মন বসানোর চেষ্টা করলে ঠিক সেই আগের মনোযোগ ফিরে আসবে, কারণ একটা অভ্যেস তৈরি হতে সাধারণত ২-৩ সপ্তাহ সময় লাগে। ফলে, ঘাবড়ে না গিয়ে যেটুকু মন বসছে সেটুকু কেই রোজ একটু করে বাড়াতে থাকতে হবে। আর যেটা বললাম, তাহলেই কিছুদিনের মধ্যে আগের মনোযোগ ফিরে আসবে।
আর বাচ্চাদের মধ্যে যেকোনো আচরণের কিছু কারণ থাকে। আমরা খুব সহজেই তাদের পড়াশোনায় বা স্কুলে মন না বসাটাকে তাদের দুষ্টুমি বলে থাকি ফলে তাদেরকে বকা দি বা অন্য কিছু পানিশমেন্ট দিয়ে ফেলি।

কিন্তু তাদের পানিশমেন্ট দেওয়ার আগে আমাদের একবার দেখে নেওয়া উচিৎ যে আমাদের সন্তানের মধ্যে কোনরকম মানসিক অসুবিধা হচ্ছে না তো? হতে পারে ওই শিশুর Attention Deficit Hyperactivity Disorder আছে, বা Specific Learning Disability আছে, বা সে অন্য কোনো emotional distress এর মধ্যে আছে তাই তার মন টা স্কুলে বা পড়াশোনায় বসতে চাইছেনা।
হয়তো তার বন্ধু-বান্ধবীদের সাথে ক্লাসে অ্যাডজাস্ট হচ্ছেনা। এরম কোনো অসুবিধার মধ্যে সে আছে কিনা সেটা আগে জানতে হবে। তার জন্য মনোবিদের সাহায্য নিতে হবে। তারা কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে এগুলো যাচাই করে দিতে পারবেন আর তার সমাধানের রাস্তা বলে দিতে পারবেন। তারপরেও ছাত্রছাত্রী দের জন্য যেটা বলার যে তাদের অসুবিধাটা মনের মধ্যে চেপে না রেখে যার কাছে সে স্বস্তি বোধ করে তাকে সেটা মন খুলে বলতে হবে, সে যে কেউ হতে পারে।
মা বাবা তো অবশ্যই আছেন। তা ছাড়াও অন্য কোনো বিশ্বস্ত কারোর সাথে শেয়ার করতে হবে। তারপর মনোবিদ দের সাহায্য পেলে তাদের সমস্যা গুলোর সমাধানের রাস্তা খুঁজে পাওয়া সম্ভব হবে।