স্কুলজুড়ে বালি, পাথর, বাঁশ; নেই ঢালাই, ১৬৩ বছরের স্কুলে থমকে সংস্কারের কাজ, দায় কার ?

Published By: Madhyabanga News | Published On:

মধ্যবঙ্গ নিউজ ডেস্কঃ  মাঝপথেই থমকে ভবন সংস্কারের কাজ । সমস্যায় পড়ুয়া, শিক্ষককেরাও।  কান্দীর গর্ব ১৬৩ বছরের প্রাচীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কান্দী রাজ হাইস্কুলে  এই অচলাবস্থায় অস্বস্তিতে স্কুল কতৃপক্ষ  । ১৬৩ বছর পুরোনো স্কুলের  ভবন সংস্কারের জন্য কাজ শুরু হয় প্রায় দুই বছর আগে । স্কুল সুত্রে জানা যায়, রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের যৌথ উদ্যোগে মাইনরিটি অ্যাফেয়ার্স ও মাদ্রাসা এডুকেশন দপ্তরের মাধ্যমে আড়াই কোটি টাকার কাজ শুরু হয়েছিল স্কুল ভবন সংস্কারের কাজ।  দায়িত্ব পায় ইন্ডিয়ান টেলিফোন ইন্ডাস্ট্রিজ সংস্থা। কান্দী মহকুমার একটি ঠিকাদার সংস্থা কাজের বরাত পায়  । কাজ শুরুও হয় । কাজ শেষ না হতেই পৌরসভা ভোটের আগের দিন থেকেই কাজ বন্ধ হয়েছে।

তারপর ভোট মিটেছে, স্কুল খুলেছে। কিন্তু কাজ আর শুরু হচ্ছে না।  স্কুলের প্রধান শিক্ষক ভুমানন্দ সিংহ জানান,  প্রথমে দ্রুততার সাথে কাজ শুরু হলেও পরে থমকে গিয়েছে। বার বার সংস্থার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা হলেও ব্যর্থ হয়েছি।

কান্দি রাজ হাইস্কুলে রয়েছে মোট ২৬ টি ক্লাসরুম। সংস্কারের জন্য ভাঙা হয়েছিল ১১ টি ক্লাসরুম। বিজ্ঞান ভবনের চারটি ঘরের ছাদ ভাঙা, সিক বাধা অবস্থায় রয়েছে অথচ ঢালাই হয়নি। অন্যদিকে হরপ্রসাদ ভবনের দুটি তলায় জানলা খোলা, জল ছাদ হলেও অসম্পূর্ণ কাজ। এভাবেই গোটা স্কুল চত্বর জুড়েই টুকরো টুকরো ভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে হয়েছে কাজ, পরে আছে বালি, পাথর, অন্যান্য সামগ্রী। করোনা ধাক্কা সামলে স্কুল খোলার পর দুর্বিষহ অবস্থায় স্কুলে পঠনপাঠন পড়ুয়াদের।

স্কুলে মোট পড়ুয়া সংখ্যা ২, ১৫৬ জন। স্কুলে ক্লাসরুমের অভাবে বেঞ্চে ঠেসাঠেসি করে বসেই হচ্ছে বিভিন্ন শ্রেণীর ক্লাস। দ্রুত কাজ শুরুর দাবি জানিয়েছেন পড়ুয়ারাও ।  কান্দী পৌরসভার চেয়ারম্যান জয়দেব ঘটক বলেন, একজন ছাত্র হিসেবে বিষয়টি দেখতে খুব খারাপ লাগছে। প্রাক্তন চেয়ারম্যান স্কুলকে চিঠিও লিখেছিলেন। স্কুলের কাছে সদুত্তোর মেলেনি। আমরা সকলকে নিয়ে আলোচনায় বসবো।