সিবিআইয়ের তালিকায় জেলার চার বিধায়ক, এক কর্মাধ্যক্ষ

Published By: Madhyabanga News | Published On:

বিদ্যুৎ মৈত্র, বহরমপুরঃ দুঁদে গোয়েন্দাদের নাকানিচোবানি খাইয়েও শেষরক্ষা হল না। সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হলেন জীবনকৃষ্ণ সাহা। রাজ্য জুড়ে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে মুর্শিদাবাদ থেকে প্রথম গ্রেফতার হলেন শাসকদলের বিধায়ক। কিন্তু এরপর কে? সেই প্রশ্নেই সরগরম জেলা।

আন্দি ছাড়ার সময় সিবিআই আধিকারিকরা অবশ্য ঠাট্টার ছলে সেই প্রশ্নই চাগিয়ে দিয়ে গেলেন। সিবিআই সূত্রে জানা যায়, মুর্শিদাবাদের এখনও চার বিধায়ক ও জেলাপরিষদের এক কর্মাধ্যক্ষের নাম রয়েছে কেন্দ্রের গোয়েন্দাদের তালিকায়। ইতিমধ্যে নবগ্রামের বিধায়কের নাম নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। যদিও সব অভিযোগ উড়িয়ে কানাই মন্ডল বলেছেন, “আমি ইডি-সিবিআইয়ের অপেক্ষায় রয়েছি” ।

বাংলা নতুন বছর শুভ হল না তৃণমূলের কাছে। এমনিতেই জেলা কমিটি ঘোষণা করা নিয়ে চেয়ারম্যান ও জেলা সভাপতির মধ্যে প্রকাশ্য বিবাদে মুখ পুড়েছে শাসক শিবিরের। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে বিধায়কদের সামনে রেখে ভোটে লড়বার প্রস্তুতি নিচ্ছিল তৃণমূল। তার আগে এক বিধায়কের গ্রেফতারি বেশ খানিকটা পেছনে ফেলবে তৃণমূলকে, এমনই পর্যবেক্ষণ রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের।

তবে তৃণমূলের একাংশের দাবি, জীবনের সঙ্গে বীরভূম ও বর্ধমানের তৃণমূল নেতাদের  সঙ্গে যেমন যোগাযোগ ছিল তেমনি রাজনীতিতে প্রতক্ষ্যভাবে নামার আগে মুর্শিদাবাদ জেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গেও ছিল জীবন যোগ। যাঁদের অনেকেই এখন তৃণমূলের ‘মাথা’। ফলে জীবনকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে শাসকদলের মুর্শিদাবাদের তাবড় নেতাদের পাশাপাশি একাধিক এজেন্টের খোঁজ পেতে পারে সিবিআই। খোঁজ মিলতে পারে টাকার বিনিময়ে চাকরি পাওয়া সেই সব ভুয়ো শিক্ষকদেরও। তবে ভুয়ো শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ই নয়, গরু পাচারের মত যে সুতোয় টান দিয়েছে সিবিআই সেই টানেই নিজাম প্যালেশে যেতে হতে পারে সন্দেহজনক একাধিক জনপ্রতিনিধিদের।

ইতিমধ্যে জীবনের সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়েছে তৃণমূল। নির্বাচনে জিতে প্রথমবার বিধায়ক হন জীবনকৃষ্ণ ২০২১-এ। ওই বছরই ভোটে হেরে তৃণমূলের বহরমপুর-মুর্শিদাবাদ সংগঠনের দায়িত্ব পান শাওনি সিংহরায়। তৃণমূলের একাংশের দাবি, জেলা নেতৃত্বের কাউকে কাউকে ‘মা’ বলে ডাকতেন জীবন। তাঁরাই বলছেন, “ছেলে” গ্রেফতারের পরেও মায়েদের মুখে কুলুপ কেন? সেই প্রশ্নের উত্তর জানতে শাওনিকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেন নি। উত্তর দেন নি হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজেরও।