সুভাষ চন্দ্র বসু প্রথম মুর্শিদাবাদ জেলায় এসেছিলেন প্রায় ১৯১৩-১৪ সালে । তখন তিনি স্কুল ছাত্র। বয়স ১৬। স্কুলের বন্ধুদের সাথে এসেছিলেন মুর্শিদাবাদ। কোন রাজনৈতিন কাজে নয়। উদ্দেশ্য ছিল সিরাজ দৌলার সমাধিক্ষেত্র দেখা। জানা যায়, বহরমপুরে থেকে হেঁটেই লালবাগ গিয়েছিলেন ছাত্র সুভাষ। ছিলেন ছবিরুদ্দিন আহমেদের বাড়িতে। সেখানে ঘি দিয়ে আলুসেদ্ধ ভাতও খেয়েছিলেন সুভাষ।
এর পর যদিও সুভাষ এই জেলায় আসেন রাজবন্দি হিসেবে, ১৯২৩ সালে। এর পর সুভাষ মুর্শিদাবাদে আসেন ১৯৩১ সালে। তবে সেবার এসে ফিরে গিয়েছিলেন সিরাজের সমাধি দেখতে। পথে ভাগীরথীর তীরে কাটিয়েছিলেন দীর্ঘ সময়।
লোকসংস্কৃতি গবেষক পুলকেন্দু সিংহ তাঁর ‘মুর্শিদাবাদে সুভাষ’ বইতে লিখেছেন , ‘‘সেই গঙ্গায় দাঁড়িয়ে সুভাষচন্দ্র বসু গেয়েছিলেন, ‘এই গঙ্গায় ডুবিয়াছে ভাই ভারতের দিবাকর হে-/ উদিবে সে রবি আমাদের খুনে রাঙিয়া পুনর্বার হে।’
ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামকে ত্বরান্বিত করতে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে তিনি ছুটে বেড়িয়েছেন। বহু বার এসেছেন বহরমপুর থেকে জিয়াগঞ্জ, জঙ্গিপুর থেকে বেলডাঙ্গা, বড়ঞার পাঁচথুপিতে।