মধ্যবঙ্গ নিউজ, ব্যুরো : ২১শে মার্চ – মুর্শিদাবদের সামসেরগঞ্জে সংযুক্ত মোর্চার দুই শরিক সিপিআই(এম) কংগ্রেস এবার মুখোমুখি লড়াই এর ময়দানে।
সংযুক্ত মোর্চার ফর্মূলা অনুযায়ী সামসেরগঞ্জ আসনটি সিপিআই(এম) এর জন্য বরাদ্দ হয়। সেই মতো ১৭ মার্চ সিপিআই(এম) মোদাস্সার হোসেন কে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করে প্রচার শুরু করে। এদিকে শনিবার রাতে ঘোষিত কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকায় সামসেরগঞ্জ আসনে কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে মহম্মদ রেজাউল হক ওরফে মন্টুর নাম ঘোষণা হয়।

মন্টু বিশ্বাসের নাম ঘোষণা হতেই জোটের অন্যতম কর্ণধার অধীর চৌধুরীর জেলাতেই জোটের অস্তিত্ব নিয়েই প্রশ্ন চিহ্ন দেখা দিয়েছে। এই ঘটনায় সামসেরগঞ্জের সিপিআই(এম) নেতৃত্ব চরম ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তারা প্রকাশ্যেই বলছেন তৃণমূল প্রার্থীকে সুবিধা করে দিয়েই কি সামসেরগঞ্জে জোটের বিরুদ্ধে প্রার্থী দিয়ে কংগ্রেস জেলায় জোট ভাঙার রাস্তায় নামলেন।তাদের দাবি এর প্রভাব জেলার অন্যান্য কেন্দ্রেও পড়বে।
২০১৬’র বিধানসভা নির্বাচনে লিখত ভাবে জোট হলেও এই কেন্দ্রে নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছিলেন রেজাউল হক ওরফে মন্টু বিশ্বাস।
কার্যত বাম কংগ্রেসের ভোট ভাগাভাগির ফলেই জেতেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী আমিরুল ইসলাম। অল্প ভোটের ব্যবধানে হারেন সেবারের বিদায়ী বিধায়ক তোয়াব আলি।
কেমন ছিল ভোটচিত্র ?
২০১৬ সালে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী আমিরুল ইসলাম পেয়েছিলেন ৪৮৩৮১ টি ভোট ( ৩০.৪৩ শতাংশ)। সিপিআই(এম) প্রার্থী তোয়াব আলি পান ৪৬৬০১ টি ভোট (২৯.৩১ শতাংশ)। আর নির্দল হিসেবে দাঁড়িয়ে মন্টু বিশ্বাস পান ৪২৩৮৯ টি ভোট , যা ভোটের হিসেবে ২৬.৬৬ শতাংশ।
এবার আর নির্দল নয়, কংগ্রেসের প্রতীকেই লড়বেন রেজাউল হক ওরফে মন্টু বিশ্বাস।
কংগ্রেস দলের পক্ষ থেকে রাজ্যস্তরেই দাবি জানানো হয় সামসেরগঞ্জ আসনটি। সিপিআই(এম)কথা না শুনে একতরফা প্রার্থী ঘোষণা করে বলে জেলা কংগ্রেসের দাবি।
জোটের জট কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় এখন সেটাই দেখার।