খাঁখাঁ করছে “আপেল বাগান”, চরছে গোরু। আপেল বাগানে নেই আপেল গাছ। এমই ছবি সাগরদিঘীর আপেল বাগানে।
২০১৯ এর অক্টোবর মাসে কাশ্মীরের কুলগাম এলাকায় আপেল বাগানে কাজ করতে গিয়ে জঙ্গি হামলায় মারা সাগরদিঘির পাঁচ শ্রমিক। আর এরপরেই সাগরদিঘির বাসিন্দাদের যাতে কাশ্মীরের আপেল বাগানে কাজ করতে যেতে না হয়, সেই কারণে সাগরদিঘিতেই আপেল চাষ করার প্রকল্প চালু হয় সরকারি ভাবে। অথচ সাগরদিঘির সেই আপেল বাগানে এখন আপেল গাছ খুঁজে পাওয়া মুশকিল।
যত্নের অভাবে মারা গেছে আপেল গাছ। কেন হল এক পরিণতি? এমনটা হওয়ার তো কথা ছিল না, ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা। অনেকেই কাজের সন্ধানে পারি দিয়েছেন সেই কাশ্মীরে। আপেল চাষের জন্য সাগরদিঘির কৃষি খামারে চারা রোপণ করা হয়েছিল।
অনেক পরিচর্যা ও নানা রকম ব্যবস্থা করেও আপেল চাষ সম্ভব হল না , আগামী দিনে এখানে অন্য কী চাষ করা যায় তা নিয়ে বিভিন্ন দপ্তরের সাথে কথা বলবেন বলা জানান সাগরদিঘীর বিডিও সুরজিত চ্যাটার্জী ।
শ্রমিকরা বলছেন, কাশ্মীরে যেতে তাদের ভয় লাগলেও পেটের দায়ে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। অভিনব উদ্যোগকে কেন বাঁচিয়ে রাখা গেল ন এই নিয়ে রাজনৈতিক তরজাও চরমে উঠেছে। পরিযায়ী শ্রমিক, বেকারদের কর্ম অংস্থান নিয়ে শাসক তৃণমূলের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছে কংগ্রেস, বিজেপি । যদিও আপেল বাগানের বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন জঙ্গিপুরের সাংসদ খলিলুর রহমান।