সরকারী জমিতে বেআইনি দোতলা বাড়ি! বিপাকে বহরমপুরের কংগ্রেস নেতা

Published By: Madhyabanga News | Published On:

নিজস্ব সংবাদদাতা, বহরমপুরঃ সেচ দপ্তরের সরকারী জমি দখল করে বেআইনি ভাবে দোতলা বাড়ি তৈরির অভিযোগ উঠল বহরমপুর পৌরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর তথা পৌরসভার বিরোধী দলনেতা হিরু হালদারের বিরুদ্ধে। বহরমপুরের সদর মহকুমা শাসক প্রভাত চ্যাটার্জী পৌরসভার পক্ষ থেকে অভিযোগ পেয়ে সরজমিনে তদন্ত করে এই দোতলা বাড়ি অবৈধ বলে ঘোষণা করেন।

যদিও এই অভিযোগকে গুরুত্ব দেননি কংগ্রেস কাউন্সিলর। হিরু হালদারের দাবী, যেহেতু তিনি কংগ্রেস করেন তাই এই তদন্ত। তাঁদের দোতলা বাড়িটি যে সেচ দপ্তরের সরকারী জমি দখল করে অনুমতি ছাড়াই করা হয়েছে তা স্বীকারও করেন কংগ্রেস নেতা হিরু হালদার। তিনি আরও বলেন বহরমপুর পৌরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডে প্রায় ১৫০০ বাড়ি আছে যা অবৈধ। তবে শুধু তাঁর বাড়ির বিরুদ্ধেই কেন অভিযোগ করা হল?

এর পাল্টা দেন বহরমপুর পুরসভার চেয়ারম্যান নাড়ু গোপাল মুখার্জী। তিনি বলেন, বিঘে বিঘে জমি কিনে রেখেছেন হিরু হালদার। কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক, অর্থবান ধণবান মানুষ তিনি। এছাড়াও বহরমপুর পুরসভার বিরোধী দলনেতা হিরু হালদারের বিরুদ্ধে এদিন একাধিক আর্থিক তছরুপের অভিযোগ তুলেছেন পুরসভার চেয়ারম্যান নাড়ুগোপাল মুখার্জী। তিনি উল্লেখ করেন তাঁর এক কাউন্সিলারের কাছ থেকে দশ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন হিরু।

তবে জমি জবর দখল করে বাড়ি তৈরির অভিযোগ পেয়ে সরজমিনে তদন্তে নামে প্রশাসন। ওই জমির দাগ, খতিয়ান, মৌজা সব খতিয়ে দেখে ৪ নম্বর ওয়ার্ডে সেচ দপ্তরের জমির ওপরে বিতর্কিত ওই দোতলা বাড়িকে বেআইনি বলে চিহ্নিত করে প্রশাসন। আগামী ২৯ শে মে এর মধ্যে জমি সংক্রান্ত কাগজ না দেখাতে পারলে প্রশাসন আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে বলে জানান সদর মহকুমা শাসক প্রভাত চ্যাটার্জী।

বহরমপুর পৌর এলাকায় বেআইনি জরবদখল যেন অধিকার হয়ে দাঁড়িয়েছে এক শ্রেণীর মানুষের। এর ফলে পৌর নাগরিকদের ভোগান্তির অন্ত নেই। পথচারীদের রাস্তা জবরদখল থেকে শুরু করে সেচ-নালা দখল চলছে অবাধেই। পৌরসভার বিরোধী দলনেতার এই অবৈধ জবরদখলের মতো সমস্ত জবরদখলকারীর বিরুদ্ধেই পৌর ও মহকুমা প্রশাসনের কাছে দাবী জানাচ্ছে বহরমপুর শহরের আমজনতা।