সকালে নাড়ু, বিকেলে অধীর; উচ্ছেদে সরগরম শহর

Published By: Madhyabanga News | Published On:

সরকারি জমি থেকে উচ্ছেদ নিয়ে সরগরম শহর বহরমপুর। হাসপাতালের জমি থেকে উচ্ছেদের আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছে প্রায় পনেরোটি পরিবার। বহরমপুরে পুরোন হাসপাতাল এলাকায় সরকারি জমিতে তৈরি হবে আধুনিক মেকানাইজড লণ্ড্রি। ২৬ শে অক্টোবর প্রকল্প রুপায়নের জন্য সরকারি জায়গায় জবর দখলকারীদের উচ্ছেদ করে প্রশাসন। দখলমুক্ত জমিতে জমির কাগজপত্র স্বাস্থ্য দপ্তর ও বিদ্যুৎ দপ্তরের হাতে হস্তান্তরিত করা হয়।
চারটি বাড়ি ভেঙেছে প্রশাসন। এর পরেই বিষটি নিয়ে পথে নামে কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার স্থানীয়দের সাথে দেখা করে কথা বলেন বহরমপুরে সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী।
শুক্রবার সকালে পুরোন হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বললেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায়। সাথে ছিলেন পৌরসভার প্রশাসক স্বরূপ সাহা।

স্থানীয়দের সাথে কথা বললেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায়

বিকেলে উচ্ছেদ ইস্যু নিয়ে রাস্তায় নামলেন বহরমপুরের সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী।

বহরমপুরে সদর হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ডের পাশে বস্তিবাসীদের পুনর্বাসনের দাবি ও ক্ষতিপূরণের দাবীতে মিছিলের ডাক দিয়েছিল বহরমপুর টাউন কংগ্রেস। শুক্রবার বিকেলে বহরমপুরের সাংসদ , প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীর নেতৃত্বে কান্দি বাস স্ট্যান্ড মোড় থেকে শুরু হয় মিছিল। বিভিন্ন এলাকা পরিক্রমা করে মিছিল শেষ হয় কান্দি বাস স্ট্যান্ড চত্বরেই। মিছিল শেষে হয় পথ সভা। বহরমপুরে উচ্ছেদ প্রসঙ্গে এদিন অধীর বলেন, উন্নয়ন হোক। কিন্তু উন্নয়ন যেন অমানবিক পদ্ধতিতে না হয়। উন্নয়ন আলোচনার পথ ধরে যেন হয়।

বিকেলে মিছিল অধীরের

তবে, প্রশাসন যেভাবে বাড়ি ভেঙেছে তা নিয়ে ক্ষোভ জানান অধীর। অধীরের দাবি, এতে মদত আছে তৃণমূল কংগ্রেসের।

যদিও সকালে এলাকায় গিয়ে নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, রাজনীতি করতে এসেছিলেন অধীর।
নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায় বলেন, এখানেই মেকানাইড লণ্ড্রি হবে। ভাঙা হয়েছে চারটি বাড়ি, পনেরোটা বাড়ির সাথে কথা বলে তাদের পুনর্বাসন দিয়ে মেকানাইজড লন্ড্রি ডেভেলপমেন্টের দিকে এগব । তিনি জানান, পৌরসভা, জেলা প্রশাসন সকলে মিলেই মানুষের সাথে কথা বলে উন্নয়নের কাজ করবে।
পৌরসভার পক্ষ থেকে চারটি পরিবারকে পঞ্চাশ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য করা হয় এদিন।

বহরমপুরের সাংসদ বলেন, মানুষের সাথে আলোচনা করে উন্নয়ন হোক। কিন্তু উন্নয়ন যেন অমানবিক পদ্ধতিতে না হয়।
অধীর অভিযোগ করেন, তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের নির্দেশে চলে পৌরসভা ও প্রশাসন ; গরিব পরিবারের উপর ভোর চারটের সময় হামলা করেছে প্রশাসন।