সামসেরগঞ্জে কংগ্রেসের যেন এই মুহূর্তে শাঁখের করাতের অবস্থা। ৩০ শে সেপ্টেম্বর এই বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট। ভোটের আগেই ভোটের লড়াই থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন কংগ্রেস প্রার্থী জইদুর রহমান। তাহলে এবার কী? এই কেন্দ্রে কংগ্রেসের ভোট কাকে? কংগ্রেস কর্মীরা এখন কোথায় ভোট দেবেন! যা নিয়ে প্রশ্ন দেখে দিয়েছে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীও প্রকাশ্যেই স্বীকার করেছেন তাদের এই অস্বস্তিকর অবস্থার কথা। শনিবার বহরমপুরে দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী, সেখানে তিনি বলেন কংগ্রেসের স্থানীয় কর্মীরাই ঠিক করবে কাকে ভোট দেবেন। অধীর বলেন, ” বিজেপি গোহারা হারবে সামসেরগঞ্জে- এটা সবাই জানে। তা লড়াইটা হত কংগ্রেস বনাম তৃণমূল। এটা ঠিক ছিল এই লড়াইটা হবে। কংগ্রেস নেই এখন বাম আছে”। অধীর বলেন, ” ওখানকার স্থানীয় কংগ্রেস কর্মীরা, স্থানীয় নেতৃত্বকে বলেছি আপনারা যেটা সিদ্ধান্ত নেবেন আমরা সেটাই মেনে নেব। এখানে চাপিয়ে দেওয়ার কিছু নেই”।
সামসেরগঞ্জ কেন্দ্র নিয়ে প্রথম থেকেই সংযুক্ত মোর্চা জোত নিয়ে দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসে। একদিকে কংগ্রেস প্রার্থী দেয়, অন্যদিকে সিপিাআইএম ও প্রার্থী দেয় এই কেন্দ্রে। এই অবস্থায় সিপিআই(এম) , কংগ্রেসের কাছে তাদের পক্ষে ভোট করার জন্য লিখিত ভাবে চিঠি দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন সিপিআই এম মুর্শিদাবাদ জেলা সম্পাদক নৃপেন চৌধুরী।
সামসেরগঞ্জের সমীকরণ কোন দিয়ে এগয় সেই নিয়েই চর্চা রাজনৈতিক মহলে।