রাহি মিত্রঃ অন্যসব ঋতু যেমন তেমন তবে শীতকাল নিয়ে একটা আগাম সর্তকতা সব মানুষই নিয়ে থাকেন। আর কেবল মানুষই বা বলব কেন পশুপাখি সবাই শীতে কাবু । তাই শীতকাল শুরুর সময় থেকেই সকলেই সতর্ক হয়ে আগাম সুরক্ষা ব্যবস্থা নিতে থাকেন । তবে শীতকালে ঠান্ডা অনুভূত হওয়াটা প্রাকৃতিক ব্যাপার। তাই শীত নিয়ে অহেতুক চিন্তাভাবনা না করে প্রয়োজনীয় কিছু নিয়ম মেনে চললেই শীতের রোগ ব্যাধির হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
শীতের স্বাভাবিক সর্তকতা বলতে দৈনন্দিন জীবনে শীতের কারণে জুবুথুবু না হয়ে থাকা, স্বাভাবিক কাজকর্ম গুলো করে যাওয়া৷ । তবে এখন করোনাকালে বাচ্চা আর বয়স্কদের একটু বেশি সতর্ক থাকতে হবে সেটা ঠিক । তবে একথাও ঠিক শীতের ঠান্ডা লেগে সর্দি অল্প জ্বর হয় অনেকের৷, তবে সে সবকেই কোভিড ভেবে আতঙ্কে রয়ে যাচ্ছেন অনেকেই আর তা থেকে সমস্যা আরও বেড়ে যাচ্ছে। তাই অতিমারির সময়ে আগাম সর্তকতা যেমন জরুরি তেমনি শীতভর সতর্ক থাকাটাও জরুরি সদ্যোজাত থেকে বৃদ্ধবৃদধা সকলেরই ।
তবে ওষুধপত্রের চেয়ে প্রাকৃতিক উপায়ে যত বেশি সুস্থ থাকা যায় ততই ভালো । আর এব্যাপারে খাবারের একটা বড় ভূমিকা আছে । কিছু কিছু খাবার আছে যা খেলে শীতে ভালো থাকা যায়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করা যায় শরীরে ।
এ বিষয়ে দৈনন্দিন খাবার তো আছেই যেগুলোকে মোটামুটি স্বাস্থ্যকর হিসেবে ধরা হয়। বিভিন্ন ভিটামিন এবং প্রোটিন , খনিজ সম্পন্ন খাবার যেগুলি । এর বাইরে ও কিছু খাবার আছে যা শীতের সুরক্ষা হিসেবে ধরা যেতে পারে ।

হলুদঃ হলুদ মানে কাঁচা হলুদের ঔষধি গুন সেই প্রাচীনকাল থেকেই জানা সকলেরই । হলুদের মত প্রতিরোধশক্তি খুব কম জিনিসের মধ্যেই আছে । শীতকালে ফ্লু জাতীয় রোগ থেকে বাঁচতে কাঁচা হলুদ অব্যর্থ ।
গুড়ঃ গুড় কে চিনির বিকল্প হিসেবে অবশ্যই ধরা যেতে পারে । স্বাস্থ্যকরও গুড় হজমে সহায়তা করে । গ্যাসের সমস্যা কমায় গুড় । আয়রন ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ও শ্বাসকষ্ট জনিত রোগের জন্য উপকারী গুড় । গলা খুসখুস করলে উপশম হয় গুড় খেলে । ঘিঃ শীতকালে রুক্ষতায় ঘি খাওয়া উপকারী৷। ভিটামিন এ এবং ই ও বিউরিক এসিড সমৃদ্ধ ঘি শরীরকে ভেতর থেকে উষ্ণ রাখতে সাহায্য করে ।
শীতকালীন ফ্লু থেকে বাঁচতে অশ্বগন্ধা ভরসাযোগ্য উপাদান । এছাড়াও আরো বহু খাদ্য উপাদান রয়েছে যেগুলোতে পাওয়া যেতে পারে শীতে রোগ প্রতিরোধকারী শক্তি । একই সাথে কিছু নিয়মকানুন মেনে চলাও জরুরী যা থেকে শীতের থাবা কে এড়িয়ে মজা টা নেওয়া যেতে পারে ।