শীতের আমেজ আসতে চলেছে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে । তাপমাত্রা কমবে ৩ থেকে ৪ ডিগ্রি এমন একটি আবহাওয়ার পূর্বাভাস ইতিমধ্যে পাওয়া গেছে । যদিও কার্তিকের শুরুর দিক । এখনো কালীপুজো ভাইফোঁটা বাকি আছে । তবু বাতাসে একটা ড্রাইনেসের আভাস পাচ্ছি । ভোরের দিকে অল্প হলেও ঠান্ডা ভাব অনুভূত হচ্ছে । তাই বলতে পারি শীত বুড়ো রওনা দেওয়ার তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে ।
শীত পুরোমাত্রায় আসার আগেই কিন্তু আমাদের সজাগ হতে হবে । ত্বক আর চুলের রুক্ষ হয়ে যাওয়া কে রোধ করতে হবে। সহজ কিছু পদ্ধতি যা মেনেই কিন্তু আমরা শীতের থাবাকে এড়িয়ে শীতের মজাটা কে নিতে পারব।
শীতে হাসিখুশি ত্বক আর চুল পেতে গেলে প্রথমেই মনে রাখতে হবে কোনো অবস্থাতেই যেন ত্বক আর চুল যেন ড্রাই হয়ে না থাকে । কারণ ত্বক একবার যদি ড্রাই হয়ে যায় , তা ফেরাতে বেগ পেতে হয় । তাই ত্বকে ময়েশ্চারাইজার সরবরাহ যেন জারি থাকে । দিনে দু’বারের বেশি মুখ ধোয়া বা হাত পা ধোয়া একেবারেই নয় । শীতে বারবার হাত মুখ ধুলে ত্বকের প্রয়োজনীয় তেল ধুয়ে যায় ,। তবে মুখ বা হাত ধোয়ার পর অবশ্যই যেন ময়েশ্চারাইজার লাগানো হয়।
ত্রিশের নিচে বয়সীদের ত্বকের যত্ন যতটা না সিরিয়াস প্রয়োজন , তার থেকে অনেক বেশি প্রয়োজন ত্রিশোর্ধ দের। কারণ এই বয়সে ত্বক তার আদ্রতা হারিয়ে ফেলে এবং শুষ্ক হয়ে যায়। তবে বয়ঃ সন্ধির সময় থেকেই যদি সঠিক রূপচর্চা ত্বক পরিচর্যা করা যায় হোম কেয়ার এর মাধ্যমেই তবে ৩০ হোক বা ৪০ ত্বক তার প্রয়োজনীয় আদ্রতা ধরে রাখতে পারে । ক্লিনিক্যাল কেয়ারের তুলনায় হোম কেয়ার অনেকাংশে নিরাপদ একথা মনে রাখতে হবে।
যেকোনো বয়সেই ত্বকের পিএইচ ব্যালেন্স ধরে রাখা অত্যন্ত জরুরী । এই বয়সে ত্বকে অক্সিজেন ক্রিম ব্যবহার করা যেতে পারে । বিকল্প তে ময়েশ্চারাইজার লাগানো যেতে পারে ।
পর্যায়ক্রমে পঞ্চাশোর্ধ কালে মহিলা দের ত্বকের আর্দ্রতা পুরোপুরি হারিয়ে যেতে পারে । আর সিজন চেঞ্জ বা শীতের সময় তো কথাই নেই । চোখের তলায় ফাইন লাইনস আর গাল কপাল ড্রাই হতে থাকে ।হাত পায়ের অবস্থা শোচনীয় হয়ে পড়ে ড্রাই নেশে কুঁচকে যাওয়ার কারণে । এই সময় কোলাজেন ক্রিম অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে । মুখসহ শরীরেও হেভি ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিতে হবে । এই সময় ত্বক ডিহাইড্রেট হয়ে যায় তাই ত্বকের আদ্রতা টা ধরে রাখা অত্যন্ত জরুরী।