মধ্যবঙ্গ নিউজ, বহরমপুরঃ মুর্শিদাবাদের সুতি ব্লকের গোঠা এ আর রহমান হাইস্কুলে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কান্ডে জড়িত সন্দেহে ধৃত প্রাক্তন ডিআই ও দুই কর্মচারীকে শনিবার জঙ্গিপুরে অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁদের ন’দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
অন্য এক শিক্ষকের মেমো নম্বর জাল করে নিজের স্কুলে ছেলের চাকরি জুটিয়ে দিয়েছিলেন গোঠা এ আর রহমান হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আশিস তেওয়ারি। বিষয়টি সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসে মুর্শিদাবাদের শিক্ষা ভবন। সেখানে প্রাথমিক অনুসন্ধান শেষে সুতি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বর্তমান জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক। মামলা হয় হাইকোর্টেও। অভিযোগকারীর পক্ষে সিবিআই তদন্তের আবেদন থাকলেও কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সেই মামলার তদন্তভার দেন সিআইডিকে। তদন্তে নেমে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ শেষে চলতি সপ্তাহের শুক্রবার ভবানী ভবনে গ্রেফতার করা হয় মুর্শিদাবাদের প্রাক্তন জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক ও শিক্ষা ভবনের দুই কর্মচারীকে গ্রেফতার করা হয় বহরমপুরে। আগে গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষককে।
এদিন সিআইডি সূত্রে জানা যায়, ভবানী ভবন থেকে সিআইডি আধিকারিকরা ধৃত জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক অবসরপ্রাপ্ত পূরবী দে বিশ্বাসকে জঙ্গিপুর আদালতে নিয়ে আসেন। শনিবার ওই কান্ডে ধৃত অন্য দুই কর্মচারী নিত্যগোপাল মাঝি ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী অঞ্জনা মজুমদারকে ও জঙ্গিপুর আদালতে হাজির করেন গোয়েন্দারা। সেখানে সিআইডির আইনজীবী ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১৪ দিনের হেফাজত চাইলেও বিচারক ন’দিন পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। আদালত থেকে বেরিয়ে ওই দিন গোয়েন্দারা ধৃত তিন সরকারি কর্মীকে নিয়ে চলে যান রাজ্য গোয়েন্দা পুলিশের সদর দফতরে। আদালত চত্বরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ধৃত প্রাক্তন ডি আই বলেন, ” আপনারা আমাকে চেনেন। শেষ হলে সব বলবো।”