শাহ আলমের পিছনে এখন কে ? রানিনগরে তৃণমূলে তরজা চলছেই Raninagar TMC Debate

Published By: Madhyabanga News | Published On:

রিয়া সেনঃ আবার বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে রানিনগর ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতি সভাপতি ও তৃণমূল নেতা শাহ আলম সরকার Sah Alam Sarkar ।
শুক্রবার রানিনগরে Raninagar দু’বছর ধরে এলাকা ছাড়া তৃণমূলের দুই পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যকে এলাকায় ফিরিয়ে এনে পঞ্চায়েত সমিতির সামনেই ঐ সদস্যদের দিয়ে সাংসদ আবু তাহের খানের দিকে তোপ দাগেন শাহ আলম সরকার। রানিনগর পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সহ সভাপতি মুর্শেদ নওয়াজ ও পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য জুলফিকার আলির দাবি ছিল, দুই বছর ধরে পঞ্চায়েত সমিতিতে, এলাকায় যেতে পারেন না তার। শুক্রবারের পর অবশ্য সমস্ত সমস্যা মিটে যাবে বলে জানান ওই দুই তৃণমূল কংগ্রেস নেতা।
সাংসদকে নিশানা করে ওই পঞ্চায়েত সমিতি সদস্য মুর্শেদ নওয়াজ এবং জুলফিকার আলি মণ্ডল অভিযোগ করেন , আবু তাহের খান ৫০ লাখ টাকা চেয়েছিলেন ব্লক সভাপতি করে দেবে বলে । গত বিধানসভায় রানিনগর কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী সৌমিক হোসেনকে হারানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন বলেও দাবি করেন ওই দুই পঞ্চায়েত সমিতি সদস্য।
অভিযোগকারী পঞ্চায়েত সমিতি সদস্যদের সুরে সূর মেলান শাহ আলম সরকারও। শাহ আলম সরকার বলেন, “ এই অভিযোগ আমি আগেই করেছিলেন। ভোটের দিন লাইভ করে বলেছিলাম, আমাদের এমপি সাহেব, উনি তখন জেলা সভাপতি ছিলেন সৌমিককে হারানোর জন্য চেষ্টা করছেন এবং কিছু নির্দেশও দিয়েছেন”। মুর্শেদ নওয়াজ এবং জুলফিকার আলি মণ্ডল দলের মূল স্রোতেই কাজ করবেন।

যদিও শনিবার বহরমপুরে আবু তাহেরের পাশে বসে রানিনগরের বিধায়ক Raninagar MLA সৌমিক হোসেন Soumik Hossain এই অভিযোগ সরাসরি নস্যাৎ করেছেন। সৌমিকের বলেন , “ কাল এই খবর আমি পেয়েছি। খুব দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। এই ব্যক্তিদের ( মুর্শেদ নওয়াজ এবং জুলফিকার আলি মণ্ডল) আমি চিনি না। ভোটের সময় দেখিওনি। সাংসদের সাথে আমার খুব ভালো সম্পর্ক। মিডিয়াই এই সব কথা বলে ওনারা ঠিক করেন নি”। ভোটের সময় সাংসদ গিয়েছিলেন, সহযোগিতা করেছিলেন বলেও জানান সৌমিক। শাহ আলম সরকারের প্রসঙ্গে বিধায়ক বলেন, “ উনি কীসের জন্য বলেছে আমার জানা নেই। কে কীসের জন্য বলছেন সেটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার”।

উল্টে সাংসদ আবু তাহের খানের Abu Taher Khan, MP দাবি, শাহ আলম সরকারের অত্যাচারেই পঞ্চায়েত সমিতিতে যেতে পারতেন না ওই দুই পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য।
আবু তাহের খান জানান, যারা অভিযোগ করেছেন তাদের বিরুদ্ধে দলীয় ও প্রশাসনিক স্তরে পদক্ষেপ গ্রহন করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে ।
তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর, আগে দুই পঞ্চায়েত সমিতি সদস্য একাধিক বার শাহ আলম সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন, সেই সময় আবু তাহের খানের ঘনিষ্ট ছিলেন তারা ।
আবু তাহের খানের যুক্তি ঈদের আগে মুচলেখা দিয়ে তারা এলাকায় ফেরার জন্য এই কুৎসা করছেন । সৌমিক হোসেনও সরাসরি প্রকাশ্যে শাহ আলম সরকারের পাশে না দাড়ানোয় রাজনৈটিক মহলে ফের নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, শাহ আলম সরকারের বিরুদ্ধে কি কোন ব্যবস্থা নেবে তৃণমূল কংগ্রেস ? কার প্রশয়ে দলের সাংসদকে নিশানা করছেন শাহ আলম সরকার, সেই প্রশ্নও উঠছে তৃণমূলের অন্দরে।