শাহনওয়াজ থেকে দেবাশিসঃ মিটল না ক্ষোভ

Published By: Madhyabanga News | Published On:

মধ্যবঙ্গ নিউজ ব্যুরোঃ

ক্ষোভঃ মুর্শিদাবাদ বিধানসভায় 

 মুর্শিদাবাদ বিধানসভায় না পসন্দ প্রার্থী। বিদায়ী বিধায়ককে প্রার্থী চাননি তৃণমূল কংগ্রেস  নেতাদের এক অংশ। কিন্তু শোনেনি দল। একুশে প্রার্থী শাওনীই।

তবে, শাওনী দ্বন্দ্ব যে মেটেনি, টের মিলল রবিবার বহরমপুর ঋত্বিক সদনে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা কমিটির  বৈঠকে।

নির্বাচনে রণকৌশল ঠিক করতেই দলের নেতাদের নিয়ে  জেলা কমিটির বৈঠক ডেকেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। উপস্থিত ছিলেন প্রার্থীরাও।  বৈঠকের বাইরেই তৃণমূল কংগ্রেসের জিয়াগঞ্জ ব্লক সভাপতি দেবাশিস সরকার   বললেন, প্রার্থী বদলের আর্জি করেছিলেন, দল শোনেনি; এখন শাওনীকে জেতাতে গেলে বিধানসভায় কমিটির দায়িত্ব নিতে হবে খোদ জেলা সভাপতিকেই।

দেবাশিসের গলা এদিনও ছিল উষ্মা।

বলেন, ” আমরা আজ প্রস্তাব দিয়েছি মুর্শিদাবাদ বিধানসভায় জেলা সভাপতির নেতৃত্বে নির্বাচনী কমিটি করেই সেখানে নির্বাচন করা হোক”।

আর জেলা সভাপতি না থাকলে ?

দেবাশিসের বয়ান, ” আমরা যেহেতু ওনাকে প্রার্থী চাইনি;  প্রার্থী হেরে গেলে আমাদের ঘাড়ে দায় চাপাবেন।”

সেও দায় নিতে চান না স্থানীয় কর্মীদের একাংশ।

দেবাশি সরকারের  মন্তব্য ঘিরে জল ঘোলা শুরু হয়েছে তৃণমূলের অন্দরেও।

 

সাথেই দেবাশিসের  খোঁচা, সমস্যা মিটল কিনা সেটা ফল ঘোষণার দিনেই বোঝা যাবে।

ক্ষোভঃ মহিলা প্রার্থী নিয়ে

একুশে জেলার প্রার্থী তালিকায় যথেষ্ট সংখ্যায়  স্থান পাননি মহিলারা। দলনেত্রী মহিলা দের সামনে আনার কথা বললেও মুর্শিদাবাদে ২২ জনের প্রার্থী তালিকায় স্থান পেয়েছেন দুই জন মাত্র মহিলা।

এই নিয়ে রবিবার দলের সভায় আবার ক্ষোভ জানালেন মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের কর্মধ্যক্ষ শাহনাওয়াজ বেগম। এর আগেও দলের দপ্তরে নিজের ক্ষোভ জানিয়েছিলেন শাহনাওয়াজ অনুগামীরা। এদিন জেলা কমিটিতে মহিলাদের সংখ্যা কম কেন ? এই প্রশ্নও  তোলেন তিনি ।

দুশো জনের জেলা কমিটিতে স্থান পেয়েছেন মাত্র দশ জন মহিলা। শাহনাওয়াজের দাবি, মানা হন নি ন্যায্য  রেশিও।

এদিন সভা শেষে  শাহনওয়াজ  তিনি বলেন, ” মালদহ জেলার বারোটা সিটে চারজন মহিলা প্রার্থী হয়েছেন, মুর্শিদাবাদ জেলায় বাইশ’টা সিটে কেন চার পাঁচ জন মহিলা প্রার্থী হবেন না। তাহলে মহিলাদের প্রতিনিধিত্ব রাজ্যে করবে কে ?”

এছাড়াও জেলাজুড়েই ক্ষোভ রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী নিয়ে। জেলাকমিটির সভা জুড়েই বিক্ষিপ্ত ভাবে উঠে আসে ক্ষোভের কথা। দলের জেলা সভাপতি আবু তাহেরর অবশ্য সাফাই, সকলে দলের কাছে নিজেদের কথা বলেছে। দল সবাইকে নিয়েই কাজ করবে।

মুখে সকলেই দলনেত্রীকে জেতানোর কথা বললেও। কাজে সেটা কতোটা করবেন, সন্দেহ তৃণমূলের অন্দরেই।