রিয়া সেন ২৬ শে জুন – একঝাক অসহায় মুখ, হাতে প্ল্যাকার্ড, সাথে বাজছে ধামসা মাদল। যে আওয়াজে ঘুম ভাঙল বহরমপুর ইন্দ্রপ্রস্থবাসীর । এই বিক্ষোভ কাটমানি ফেরানোর দাবিতে । বুধবার সাত সকালে ঠিক এভাবেই নিজেদের পাওনা টাকা ফেরতের দাবীতে পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়ির সামনে এসে হাজির আদিবাসী সম্প্রদায়ের কিছু মানুষ। হাতে প্লাকার্ড। গলাতুলে টাকা ফেরানোর জন্য সম্মিলিত চিৎকার। দোতলা বাড়ির একতলার লোহার গেটে তালা ঝোলানো রয়েছে। সেই গেট ঝাঁকুনি দিয়ে খোলার চেষ্টা। এই করেই প্রায় দুঘন্টা কেটে গেল। পুলিস এসে বিক্ষোভকারীদের বোঝানের চেষ্ট করলো। তাও একঘন্টা কেটে গেল। পুলিসের আশ্বাসে বিক্ষোভকারীরা বাড়ি ফিরে গেলেন। স্থানীয় মানুষজন প্রতারিত মানুষজনের পাশে দাঁড়ালেন।
হাতিনগর গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য সামুয়েল টুডুর বিরুদ্ধে আদিবাসীদের কাটমানি বিক্ষোভ। বহরমপুরের ইন্দ্রপ্রস্থ এলাকায় সামুয়েল টুডুর বাড়ির সামনে রীতিমতো ধর্নায় বসেন তারা। সকাল ৭ টা থেকে ১০ টা পর্যন্ত এভাবেই ধর্না দেন। অভিযোগ, ঘর তৈরির জন্য সরকারী বরাদ্দ টাকা থেকে কাটমানি নিয়েছেন পঞ্চায়েত সদস্য। সেই টাকা ফেরতের দাবীতে এদিন ধর্না বিক্ষোভ চলে। কাটমানি ফেরতের দাবীতে আদিবাসী বিক্ষোভে শোরগোল পরে যায় এলাকা জুড়ে। ঘটনাস্থলে পৌছয় বহরমপুর থানার পুলিশ। পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়ির ভেতর ধর্নায় বসে পরেন বিক্ষোভকারীরা। যদিও পঞ্চায়েত সদস্য সামুয়েল টুডুর পরিবারের পাল্টা চক্রান্তের অভিযোগ আনলেন । এদিনের আন্দোলন চক্রান্ত করে করা হয়েছে বলে দাবি স্যামিউল টুডুর স্ত্রী রিনা মার্ডির। দু’পক্ষের সাথে কথা বলে পরিস্থিতি সামাল দেয় পুলিশ। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে গত বছর আগষ্টমাসে এই প্রতারিত মানুষজন লিখিতভাবে বহরমপুরের বিডিওর কাছে কাটমানির অভিযোগ জানিয়েছিলেন কিন্তু প্রশাসন কোনই ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। যদি প্রশাসন সঠিক সময়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করতো তা হলে এই পরিস্থির সৃষ্টি হতো না।
শহর বহরমপুর বুধবার সাতসকালে অভিনব কাটমানি বিক্ষোভ দেখলো আদিবাসীদের
Published By: Madhyabanga News |
Published On: