রাহি মিত্রঃ বহরমপুরঃ জগদ্ধাত্রী পুজোর আনন্দ নিতে এক সময় বহরমপুরের অনেকেই যেতেন নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগরে। রাজা কৃষ্ণচন্দ্র এই পুজোর সূচনা করেছিলেন বঙ্গদেশে । এমনটাই বলা হয়ে থাকে । এরপরে পশ্চিমবঙ্গের চন্দননগর , শান্তিপুর আরো নানা জায়গায় শুরু হয় জগদ্ধাত্রী পুজোর। তবে মুর্শিদাবাদের কাগ্রাম , বেলডাঙ্গা , কান্দিতেও কিছু জগদ্ধাত্রী পুজো হয় । বর্তমানে শহর বহরমপুর বেশ জমজমাট জগদ্ধাত্রী পুজো নিয়ে। রাস্তাঘাট রীতিমত আলোয় আলোময় ।
বহরমপুরের খাগড়া এলাকায় জগদম্বা মন্দির , সতীমার মোড় থেকে রাধার ঘাট গঙ্গার ওপারে বাবুজি সংঘ এইসব জায়গাগুলোতে রীতিমতো চারদিন ধরে মায়ের পুজো ঘিরে মানুষের মধ্যে যথেষ্ট উন্মাদনা চোখে পড়ছে । বহরমপুরের জনবহুল এলাকা কল্পনার মোড়ে গেলেই মনে পড়ে যাবে দিন কয়েক আগে দুর্গাপুজোর কথা ।
কারণ এমনি আলো-ঝলমল জায়গাটা । বহরমপুর সিটি ক্লাব এবার নবম বর্ষে পা রেখেছে তাদের জগদ্ধাত্রী পুজোর আয়োজনে । এখানে দেবী সিংহবাহিনী । রাস্তার একপাশে প্যান্ডেল করে করা হয়েছে পুজো , এবং যেখানে পুজো হয়েছে সেখানে রাস্তার অপর পারে রয়েছে আরও একটি প্যান্ডেল। যেখানে রয়েছেন মানুষজন বসে । রয়েছেন কমিটি র লোকেরাও । তাঁদের কাছ থেকেই জানা গেল , আজ মায়ের অষ্টমী পুজো হয়েছে । আগামীকাল নবমীর বিশেষ পুজো। কোভিড প্রটোকল বা করোনা সতর্কতা বিধি এখানে যে মানা হয়েছে তার প্রমান পাওয়া যাবে চোখে না দেখলেও । কানে শুনেই ।
কারণ মাইকে অনর্গল ঘোষিত হচ্ছে করোনা সতর্কতা বিষয়ক ঘোষণা । আবার সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ এর সতর্কতা বার্তা ও ঘোষিত হচ্ছে পুজো প্যান্ডেলে। পুজো কমিটির সদস্যদের মুখ থেকেই জানা গেল ২০১২ সাল থেকে এর এই পুজোর শুভারম্ভ । এরপর থেকে তাঁরা পুজো করে চলেছেন মূলত এলাকাবাসি দের আনন্দ দিতেই। পুজো উপলক্ষে তাঁরা ছোট খাট সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকেন । এছাড়াও বিসর্জনের শোভাযাত্রা বহরমপুর সিটি ক্লাবের বিশেষ আকর্ষণের । জানালেন কমিটির সদস্যরাই। তবে করোনাকালে তাদের বিসর্জনের শোভাযাত্রা অবশ্য বন্ধ আছে । প্রশাসনের অনুমোদন সাপেক্ষে সংক্ষিপ্ত আকারে এবছর হয়ত বা হতে পারে জগদ্ধাত্রী মায়ের বিসর্জনের শোভাযাত্রা। এমনটাই জানালেন কমিটির সদস্যরা ।