শরীর চর্চা কখন করব , দিনে নাকি রাতে ? Fitness Tips

Published By: Madhyabanga News | Published On:

রাহি মিত্রঃ  চর্চা না করলে কিছুই সুস্থভাবে থাকে না আর বাড়বৃদ্ধি হয় না কিছুরই । আর সবকিছু চর্চার সাথে শরীরচর্চা বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । শরীরের সার্বিক সুস্থতাই আমাদের কাম্য তাই শরীরচর্চা যতটা জরুরি প্রতিদিনের রুটিনে , ঠিক ততটাই জরুরি সঠিক নিয়ম মেনে সঠিক সময়ে শরীরচর্চা করা৷। সময়ের কথা বলতেই অনেকের মনে একটি বিষয় নিয়ে প্রশ্ন জাগে৷, শরীরচর্চা ঠিক কখন করা উচিত দিনের বেলা নাকি রাতের বেলা ? সকাল নাকি সন্ধ্যা ? কোন সময় সর্বোত্তম শরীর চর্চার ক্ষেত্রে ?

সকাল বেলাটা কেই শরীরচর্চার জন্য উত্তম সময় বলে মনে করা হয় । বিশেষ করে সকালে যখন খালি পেটে ব্যায়াম করা হয় । সকালে শরীরচর্চা করলে ক্লান্তি বোধ হয় না । ফলে দীর্ঘ সময় শরীর চর্চা করা যায় । যাতে শরীর মন দুটোই তরতাজা থাকে । সকালে শরীরচর্চা করলে সারাদিনের ক্লান্তি আসে না । কাজ করার ইচ্ছে বাড়ে । ঘরে বাইরে যে কোনো কাজই হোক না কেন । হজম ভালো হয় । তবে সকালে শরীরচর্চা বা ব্যায়াম করলে অনেকের আবার আলস্য লাগে । সে ক্ষেত্রে দুপুরের পর বিকেলের দিকে করা যেতে পারে শরীরচর্চা ।

আজকাল কর্মব্যস্ত জীবনে অনেকেই সন্ধ্যার পর ব্যায়াম শরীর চর্চা করে থাকেন সময় বের করে নিয়ে । তবে গবেষণা বলছে রাতে ভারী ব্যায়াম বা এই ধরনের শরীরচর্চা ব্যক্তির ঘুমকে প্রভাবিত করতে পারে ।
‘ জার্নাল অফ জিওলজিফ ‘ তে প্রকাশিত সমীক্ষা বলে সন্ধ্যা ৭ পর ব্যায়াম করলে ঘুমোতে দেরি হয় । বিশেষজ্ঞরা রাতের বেলায় যোগ অভ্যাস এর মত মানসিক চাপ উপশমকারী শরীরচর্চা করার পরামর্শ দেন।

সকাল সন্ধে বাদ দিয়ে দুপুরের কথা ধরলে বলা যায় বেশি গরমে দুপুরে ব্যায়াম করলে সহজেই ক্লান্তি আসে । তাই এই সময় ব্যায়াম না করাই ভালো৷। তবে সন্ধ্যায় যোগ অভ্যাস বা হালকা শরীরচর্চা করা যেতেই পারে সাধারণ মানুষদের । তবে দুপুরে বেশি গরমে ব্যায়াম না করাই বাঞ্ছনীয়৷। এতে সহজে ক্লান্তি আসে। সেসব ক্ষেত্রে রাতে তুলনায় কম ভাড়ি , কম জটিল অর্থাৎ হালকা ব্যায়াম করা যেতে পারে।

তবে যাই করা হোক না কেন শরীরচর্চা বা ব্যায়াম বা যোগভ্যাস সবকিছুই কিন্তু আমাদের সুস্থ থাকতে সাহায্য করে মাত্র৷, এর সাথে জুড়ে আছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টি তা হল পুষ্টিকর, স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্য সাথে নিয়মানুবর্তিতা । সঠিক সময়ে খাদ্যগ্রহণ আর প্রয়োজনমতো ঘুম একটু হলেও বিশ্রাম । সাথে সুস্থ ভাবনা চিন্তা বা পজিটিভ থিংকিং অর্থাৎ সদর্থক ভাবনাচিন্তায় নিজেকে মুড়ে রাখা । এগুলিই হলো সুস্বাস্থ্যের আসল চাবিকাঠি ।