নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনা রোগীকে সরকারি হাসপাতাল থেকে রেফার করার পরও ভর্তি না করার অভিযোগ উঠেছে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কতৃপক্ষের বিরুদ্ধে। ডোমকলের বাসিন্দা বছর ৩৬ এর সনিয়া বিবিকে ট্রু নাট টেস্ট করিয়ে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করানো হয়। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঐ রোগিণীকে পাঠানো হয় কোভিড হাসপাতালে। কোভিড হাসপাতাল আবার পাঠায় মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। ঘণ্টা পাঁচেক দুই হাসপাতালের টানাপড়েনের পর ফের ঐ রোগিণীকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় ডোমকল হাসপাতালে। এই মুহূর্তে রোগিণী ডোমকল সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
ক্ষুব্ধ রোগীর পরিবারের লোকজন ও ডোমকল হাসপাতাল কতৃপক্ষও।
গোটা ঘটনায় ১০২ অ্যাম্বুলেন্স চালকও কার্যত বিভ্রান্ত। তার দাবি, সোমবার দুপুরে রোগিণী কে নিয়ে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, সেখান থেকে কোভিড হাসপাতাল, আবার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ঘুরে কেটে যায় দীর্ঘ সময়। ডোমকলে স্বাস্থ্য কর্তার নিরদেহস মতো আবার ডোমকল হাসপাতালে পুনরায় রোগীনিকে ভর্তি করানো হয়। খাওয়া দাওয়া নেই, জল নেই, অসহ্য গরমে পিপিই কিট পরে নাজেহাল অবস্থায় রোগিণী তার পরিবার, চালক সকলেই।
উল্লেখ্য, এই ট্রু নাট টেস্ট হয় দু রকম। একটি স্ক্রিনিং এর জন্য এবং অন্যটি কনফরমেটারি। এত দিন পর্যন্ত জঙ্গিপুর এবং ডোমকল থেকে আসা ট্রু নাত পজিটিভ কেস সমস্ত স্ক্রিনিং করা, যার ফলে আবার আর টি পি সি আর টেস্ট করে টা কনফর্ম করতে হয়।মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সুপার বলেন, স্রেফ ভুল বোঝাবুঝির জন্যই এই ঘটনা ঘটেছে। স্ক্রিনিং টেস্ট ধরে নিয়েই কোভিড হাসপাতাল রোগীনিকে ভর্তি নিতে রাজি হয় নি। যদিও এই ট্রু নাট টেস্ট কনফরমেটারি টেস্ট জানার পরেও ততক্ষণে ডোমকলে রোগী নিয়ে চলে যাওয়া হয়। রোগীনি এলেই কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করা হবে।