রেজিস্টার্ড চিঠি দিয়ে ডাক, তাও TMC’র সভায় এলেন না অধিকাংশ MLA

Published By: Madhyabanga News | Published On:

মধ্যবঙ্গ নিউজ ডেস্কঃ বাড়ির ঠিকানায় রেজিস্টার্ড স্পীড পোস্ট করা চিঠি দিয়ে ডাকা হয়েছিল সভায়। চিঠি গিয়েছিল দলের জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি খলিলুর রহমানের কাছ থেকে। তবে চিঠিতে সাড়া না দিয়ে সভায় গর হাজির থাকলেন দলের জঙ্গিপুর সাংগঠিক জেলার  অধিকাংশ বিধায়ক।

রবিবার সকালে তৃণমূল কংগ্রেসের জঙ্গীপুর সাংগঠনিক জেলার গুরুত্বপূর্ন সভায় গড় হাজির ৯ জন বিধায়কের মধ্যে ৭  জন বিধায়ক। কিন্তু এই সভায় উপস্থিতির নিশ্চিত করার জন্য জেলা সভাপতি খলিলুর রহমান ২রা এপ্রিল প্রত্যেককে রেজিস্ট্রার উইথ এডি পোস্টে চিঠি দিয়েছিলেন ।

তবে এদিন  বৈঠকে দেখা যায় খড়গ্রামের বিধায়ক আশীষ মার্জিত ও নবগ্রামের বিধায়ক কানাই চন্দ্র মন্ডলকে। যদিও এদিন বৈঠকে অনুস্পস্থিত ছিলেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী সুব্রত সাহা, আখরুজ্জামান। ছিলেন না সামসেরগঞ্জের বিধায়ক আমিরুল ইসলাম, জঙ্গিপুরের বিধায়ক জাকির হোসেন, সুতির বিধায়ক ইমানি বিশ্বাস, ফারাক্কার বিধায়ক মনিরুল ইসলাম। আসেন নি লালগোলার বিধায়ক মহম্মদ আলিও।  বিধায়কদের অনুস্পস্থিতি নিয়ে যদিও  মুখ খুলতে নারাজ জেলা নেতৃত্ব। সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেস চেয়রাম্যান তথা নবগ্রামের বিধায়কের দাবি বিষয়টি আমরা রাজ্য নেতৃত্বকে জানাব, রাজ্য নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নেবেন। চিঠি নিয়েও  শুরু হয়েছে বিতর্ক।

রাজ্যের বিদ্যুৎ দপ্তরের  প্রতিমন্ত্রী আখ্রুজামানের দাবি তিনি ব্যক্তিগত কারনে যেতে পারেননি। তবে এইভাবে রেজিস্টার্ড চিঠি পাঠানো নিয়ে কটাক্ষ করেছেন আখরুজ্জামান। আখরুজ্জামানের কটাক্ষ  জেলা কমিটির মিটিং নিয়ে জেলা সভাপতির কাছ থেকে চিঠি পাওয়া যায় না। এই প্রথম এই রকম চিঠি পেয়েছেন তিনি
বিধায়কদের না আসা নিয়ে সরাসরি কিছু না বললেও দলের জঙ্গিপুর চেয়ারম্যান কানাই চন্দ্র মন্ডল অবশ্য উষ্মা প্রকাশ করেছেন। কানাই চন্দ্র মণ্ডল বলেন, ” তাদের কি কাজ আছে, তারা ভাত রাধছেন, নাকি ওসি বিডিও ঠিক করতে দিল্লি  কলকাতা যাচ্ছেন সেসব আমরা জানি না। আমরা রাজ্য পার্টিকে জানাবো”।