ভুয়া নথি বানিয়ে অ্যাকাউন্টে পাঠানো হল রূপশ্রীর টাকা। পরে টিপছাপ নিয়ে ব্যাংক থেকে সরিয়ে নেওয়া হল টাকা। রূপশ্রীর টাকা নিয়ে এই জালিয়াতির অভিযোগ উঠে এল সাগরদিঘীতে। বেশ কয়েক বছর আগে বিয়ে হয়েছে সাগরদিঘীর মণিগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের কড়াইয়া গ্রামের বাসিন্দা রেখা কর্মকারের । রয়েছে তিন সন্তানও। রেখার দাবি, নিজেরা করেন নি রুপশ্রীর জন্য আবেদন। তাকে ভুল বুঝিয়ে আঙুলের ছাপ নিয়ে রূপশ্রীর টাকা আত্মসাৎ করেছেন স্থানীয় দুই বাসিন্দা সাদ সেখ ও রবিউল সেখ। অভিযোগ, গত ১৫ ই জুন গ্রামের দুই বাসিন্দা সরকারি স্কিমে পাঁচ হাজার টাকার প্রলোভন দিয়ে তাঁর ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিয়ে যায়। পরের দিন ব্যাঙ্কে টাকা তুলতে গিয়ে গ্রাহক দেখেন তাঁর অক্যাকাউন্টে ২৫ হাজার টাকা ঢুকেছিল । সেখান থেকে ১০ হাজার টাকা অন্য ব্যাঙ্ক অ্যাকাউনটে ট্রান্সফার করা হয়েছে । সঙ্গে সঙ্গেই প্রশাসনের দ্বারস্থ হন গ্রাহক ও তাঁর স্বামী।
সাগরদীঘি থানা, জঙ্গিপুর এস ডি ও, মুর্শিদাবাদ জেলা প্রশাসনকে অভিযোগ জানানো হয়। অভিযোগ প্রসঙ্গে ব্লক প্রশাসনের কর্তা জানান তদন্ত চলছে, উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
ঘটনার পর থেকেই পলাতক দুই অভিযুক্ত। রুপশ্রী প্রকল্পে টাকা আত্মস্যাৎ নিয়ে সাগরদীঘিতে রাজনৈতিক চাপানউতোর। অভিযোগ পাল্টা অভিযোগে চরমে তরজা।