রাস্তাশ্রী-পথশ্রী প্রকল্পে কম রাস্তা সাগরদিঘিতে, শুরু রাজনৈতিক বিতর্ক

Published By: Madhyabanga News | Published On:

মধ্যবঙ্গ নিউজ, বহরমপুরঃ রাস্তাশ্রী-পথশ্রী প্রকল্পের উদ্বোধনের পরে ফের বিতর্ক মুর্শিদাবাদে। আজ মঙ্গলবার রাজ্যের নয়া প্রকল্প রাস্তাশ্রী-পথশ্রী উদ্বোধন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সারা রাজ্যে ১২ হাজার কিলোমিটার রাস্তার সঙ্গে মুর্শিদাবাদ জেলাতেও ওই প্রকল্পের দরুণ ৫২০.২২ কিলোমিটার রাস্তা তৈরি হবে বলে জানিয়েছেন জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র। কিন্তু জেলা প্রশাসনের দেওয়া তথ্য অনুসারে জেলার ২৬টি ব্লকের মধ্যে একমাত্র সাগরদিঘিতে সবচেয়ে কম ছ’টি রাস্তা তৈরি হবে। সব মিলিয়ে ওই ব্লকে তৈরি হবে ১৪.৩৩ কিমি রাস্তা। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, সাগরদিঘির ১১টি অঞ্চলের মধ্যে ওই রাস্তা তৈরি হবে শুধুমাত্র মোড়গ্রাম অঞ্চলে। পরের দফায় বাকি অঞ্চলের রাস্তা তৈরি হবে বলে জানান সাগরদিঘির বিদায়ী বিডিও সুরজিৎ চট্টোপাধ্যায়। যা নিয়ে ফের দানা বেঁধেছে রাজনৈতিক বিতর্ক।
এই মোড়গ্রামে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল পেয়েছিল ৫২.২৯ শতাংশ, কংগ্রেস পেয়েছিল ১৬.৫১ শতাংশ ভোট। চলতি বছরের উপনির্বাচনে মোড়গ্রামে তৃণমূল পেয়েছে ৬৭৬১টি ভোট আর কংগ্রেস পেয়েছে ৬৭৭২টি ভোট। সাগরদিঘির ১১টি অঞ্চলের মধ্যে এই অঞ্চলে তৃণমূল ও কংগ্রেসের প্রাপ্ত ভোটের ব্যবধান মাত্র ১১, যা “নামমাত্র” বলছেন তৃণমূলের স্থানীয় নেতারা। আর এই তথ্যকে হাতিয়ার করে তৃণমূল সরকারের সমালোচনায় সরব বিরোধীরা।
সাগরদিঘি উপনির্বাচনে হেরে যাওয়ায় তৃণমূল সরকারের ‘উন্নয়ন’ থেকে বঞ্চিত সাগরদিঘির মানুষ। সে কথা জানিয়ে জেলা কংগ্রেস মুখপাত্র জয়ন্ত দাস বলেন, “ দিদি উপনির্বাচনে হেরে আমলা থেকে মন্ত্রী সব সরিয়েছেন। এবার উন্নয়নেও রাশ টানলেন হেরে যাওয়ায়। আসলে দিদি ফেলো কড়ি মাখো তেলে বিশ্বাসী।” সিপিএমের জেলা সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য সোমনাথ সিংহরায় বলেন, “ তৃণমূলের এটা একটা কৌশল। যেখানে বিরোধী আছে সেখানকার মানুষকে বঞ্চিত করে জনগণের উপরে চাপ তৈরি করে ভোট নিতে চায় ওরা।” যদিও তৃণমূল তা মানতে নারাজ। নবগ্রামের বিধায়ক তথা তৃণমূলের জঙ্গিপুর সংগঠনের চেয়ারম্যান কানাইচন্দ্র মন্ডল বলেন, “ বিধায়ক অথবা স্থানীয় পঞ্চায়েত থেকে প্রস্তাব না দেওয়ায় এমন ঘটনা ঘটতে পারে। যদিও সাগরদিঘি ব্লকের অনেক রাস্তা ভাল আছে। তবে এরসঙ্গে নির্বাচনের কোনও সম্পর্ক নেই। তৃণমূল সরকার জণগনের জন্য কাজ করে, রঙ দেখে উন্নয়ন করে না। যে সাইকেল তৃণমূল সরকার দেয় তা কংগ্রেস, বিজেপি, সিপএমের ঘরের ছেলেরাও পায়।”