নিজস্ব প্রতিবেদনঃ তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল- অথচ গ্রেপ্তার হলেন কংগ্রেস কর্মীরা? যে ঘটনায় সরব মুর্শিদাবাদ জেলা কংগ্রেস নেতৃত্ব। গত ২৯ শে অক্টোবর মুর্শিদাবাদের রানিনগর ব্লকের গোধনপাড়ায় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর লড়াই প্রকাশ্যে আসে। তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ গণ্ডগোলে এক তৃণমূল কর্মী নিহত হন। এই ঘটনায় মুর্শিদাবাদ জেলা তৃনমূল শিবির দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব কার্যত স্বীকারও করে নেন। অথচ কি কারনে কংগ্রেস কর্মীদের গ্রেপ্তার করল রানিনগর থানা, যা নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। কংগ্রেসের কোন লেনাদেনা না থাকলেও পুরনো চালের মতোই পুরনো রচনা করলেন রানিনগর থানার ওসি, এমনটাই অভিযোগ মুর্শিদাবাদ জেলা কংগ্রেস মুখপাত্র জয়ন্ত দাসের। রবিবার বহরমপুরে জেলা কংগ্রেস পার্টি অফিসে সাংবাদিক বৈঠক করে সাফ জানান, তৃণমূল যখন নিজেদের আভ্যন্তরীণ বিষয় স্বীকার করছে তারপরেও কংগ্রেসিদের নাম আসে কিভাবে- রানিনগর থানার ওসি কে জবাব দিতে হবে।
রানিনগরের বিধায়িকা ফিরোজা বেগম বলেন, তৃণমূল দলের ভাগ বাটোয়ারার লড়াই, ক্ষমতা হারিয়ে যাওয়ার লড়াই। প্রকৃত দোষীদের গ্রেপ্তার ক্রুক পুলিশ। কংগ্রেস কর্মীদের হেনস্থা করা হলে আন্দোলন শুরু হবে।
রানিনগর কাণ্ডে কংগ্রেসিদের গ্রেপ্তারের ঘটনায় রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে। মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম কো অরডিনেটর অরিত মজুমদার বলছেন, পুলিশ নিরপেক্ষ কাজ করছে। কংগ্রেসের কোন এজেনডা না থাকায় অপ্রচার চালাচ্ছে।