রাজনৈতিক ইন্ধনেই ফারাক্কায় অশান্তি, দাবি মণিরুলের

Published By: Madhyabanga News | Published On:

মধ্যবঙ্গ নিউজ ডেস্কঃ ফারাক্কায় অশান্তির পিছনে রাজনৈতিক ইন্ধন রয়েছে বলে দাবি করলেন ফারাক্কার বিধায়ক MLA Farakka মণিরুল ইসলাম Manirul Islam । শনিবার জনতা পুলিশ খণ্ডযুদ্ধে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ফারাক্কার বেনিয়াগ্রামের দাদনতোলা Farakka Beniyagram ।
শনিবার বেনিয়াগ্রামের দাদনতোলায় পুলিশের সাথে বচসা হয় স্থানীদের। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পুলিশ ও গ্রামবাসীদের একাংশের মধ্যে বাধে খন্ডযুদ্ধ। গ্রাম বাসীদের দাবি ছিল, আম লিচুর বাগানের উপর দিয়ে নিয়ে যাওয়া যাবে না ইলেকট্রিকের হাই টেনশন তার। দীর্ঘ দিন ধরেই বেনিয়াগ্রামে আম, লিচুর বাগানের উপর দিয়ে আদানি সংস্থার হাইটেনশন ইলেট্রিক তার যাওয়ার প্রকল্পের বিরোধিতা করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন গ্রামবাসীদের একাংশ। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, শনিবার পুলিশ অন্যায় ভাবে গ্রামবাসীদের মারধোর করেছে। ঘটনাস্থলে ছিলেন জেলা পরিষদের কংগ্রেস সদস্য আসিফ ইকবাল। জেলা পরিষদ সদস্যের দাবি, মারধোর করা হয় তাকেও। রবিবার বিধায়ক মণিরুল ইসলাম বলেন, পরিস্থিতি এখন শান্তিপূর্ণ।
মণিরুল বলেন, “কোন রাজনৈতিক দল ইন্ধন যোগানোর ফলে এই জিনিস ঘটেছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক। আদানি ( আদানির প্রকল্পের কর্মকর্তারা) জানিয়েছে প্রত্যেককে ক্ষতিপূরণ দিয়েছে, সুরাহা করেছে। আমরা চাইছি যাতে সকলে শান্তিপূর্ণ ভাবে থাকুক”।
শনিবার দুপুরেই কড়া পুলিশি পাহারায় শুরু হয়ে ইলেকট্রিক লাইনের কাজ। রবিবার সকাল থেকেই জোর কদমে চলছে কাজ। সকালে কাটা হয় বেশ কিছু গাছও। ঝাড়খণ্ড থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ পাঠাবে আদানি গোষ্ঠী। ফারাক্কার বিভিন্ন গ্রামের উপর দিয়ে যাবে সেই তার।
পুলিশের বিরুদ্ধে হুমকির অভিযোগ উড়িয়ে মণিরুল বলেন, “ ফারাক্কা থানার আইসি পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ ভিত্তিহীন। পাঁচ-সাতবার আমরা বিডিও অফিসে বসেছি। ৯৫ শতাংশ কৃষক রাজি আছেন। একাধিকবার কৃষকদের চিঠি দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক কৃষকের সাথে কথা বলেই আমরা কাজ করেছি”।
মণিরুলের দাবি, রাজনৈতিকভাবে দু’একজন লোক অশান্তি ছড়িয়েছে। বিধায়কের দাবি, কাজের আগে প্রত্যেককে চিঠি দেওয়া হয়েছে। ভালো ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন ৯৫ শতাংশ মানুষ। কিছু মানুষ রাজনৈতিক ভাবে সব ভণ্ডুল করার চেষ্টা করেছিল। ৮ টি টাওয়ার এলাকার বেশিরভাগ মানুষ ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন।
ফারাক্কার কংগ্রেস দলের জেলা পরিষদ সদস্যের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলছেন মণিরুল। মণিরুল বলেন, “ কংগ্রেসের একজন জেলা পরিষদ সদস্য ওখানে গিয়ে বাড়াবাড়িটা করেছেন”।