রাজনীতির কারণেই খুন, অধরা তৃণমূল নেতারাঃ এসপি’র দারস্থ নওদায় নিহত নেতার স্ত্রী

Published By: Madhyabanga News | Published On:

মধ্যবঙ্গ নিউজ ডেস্কঃ  ২৪শে নভেম্বর মুর্শিদাবাদের  নওদায় খুন হন নদিয়ার নারায়ণপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী , করিমপুর ২ ব্লকের তৃণমূল সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি  মতিরুল ইসলাম বিশ্বাস। খুনের চারদিন পেড়িয়ে গেলেও অধরা মূল অভিযুক্তরা।  মুর্শিদাবাদের  নওদায় নদিয়ার  তৃণমূল নেতা খুনে বিচার চেয়ে মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশ সুপারের দারস্থ হলেন ওই নেতার স্ত্রী রিনা খাতুন বিশ্বাস    । ঘটনার পরের দিন সকালে  একাধিক  তৃণমূল নেতা সহ ১০ জনের বিরুদ্ধে নওদা থানায় অভিযোগ জানিয়েছে পরিবার ।

পুলিশ এই খুনের  তদন্তে নেমে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতারও  করেছে। সূত্রের খবর, নেতার স্ত্রীর দায়ের করা লিখিত অভিযোগে  নাম ছিল না ওই ব্যক্তির ।  এখনও গ্রেফতার হন নি মূল অভিযুক্তদের কাউকে ।   এসপির কাছে গিয়ে এই  অভিযোগই  জানালেন  নিহত তৃণমূল নেতা  মতিরুল ইসলাম বিশ্বাসের স্ত্রী, নারায়ণপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানে রিনা খাতুন বিশ্বাস।  তাঁর অভিযোগ,  এই ঘটনায় নওদা ব্লক তৃণমূল সভাপতি  সফিউজ্জামান সেখ ওরফে হাবিব মাস্টার ও নদিয়ার জেলা পরিষদ সদস্য টিনা ভৌমিক সহ ১০ জনের নামে লিখিত অভিযোগ করা হয় কিন্তু এখনও অধরা অভিযুক্তরা।

এদিন তৃণমূল নেতার স্ত্রীর সাথে ছিলেন নদীয়া যুব তৃণমূল সাধারণ সম্পাদক সাজিজুল হক শাহ্‌। প্রকৃত তদন্তের দাবি করেছেন তিনি। ফের সরব হয়েছেন নদিয়ার জেলা পরিষদ সদস্য টিনা সাহা ভৌমিক, নওদার ব্লক তৃণমূল সভাপতি সফিউজ্জামান শেখের বিরুদ্ধে।

ঘটনায় মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে নওদা থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয় পরের দিন। সিআইডি তদন্তের দাবীও তো তোলেন মৃত তৃণমূল নেতার স্ত্রী। যদিও তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র দাবি করেছিলেন , খুনের সাথে রাজনীতির যোগ নেই। তবে এদিন ওই নেতার স্ত্রীর দাবি, রাজনীতির কারণেই খুন করা হয়েছে মতিরুল ইসলাম বিশ্বাসকে।

ঘটনায় ১ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সূত্রের খবর, ঘটনার পর নিহত তৃণমূল নেতার দেহরক্ষীর অভিযোগের ভিত্তিতে   দায়ের হয়েছে এফআইআর। ওই এফআইআর-এর ভিত্তিতেই তদন্তে নেমে গ্রেফতার করা হয়েছে ওই ব্যক্তিকে। তবে এদিন  ফের তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন নিহত নেতার স্ত্রী, অনুগামীরা।