মধ্যবঙ্গ নিউজ ব্যুরো ১৩ ই মার্চ – বেলডাঙায় দল প্রার্থী করেনি ক্ষুব্ধ বেলডাঙা পৌরসভার পৌরপ্রশাসক তৃণমূল নেতা ভরত ঝাওর। এদিন বেলডাঙায় প্রশাসকের চেয়ারে বসেই সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই‘। তা হলে কি দল ছাড়ছেন ? সেটাও স্পষ্ট করেন নি। তবে বলেছেন আমি দল ছেড়ে অন্য দলে গেলে লুকিয়ে যাব না। তবে লোকের মুখে তো হাত দেওয়া যায় না, তারা তো অনেক কথায় বলে, যদি গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাই তাহলে বলেই লেখাব ভয় পাওয়ার কিছু নেই, না বলে চুপেচাপে লেখাব না । এর পরেই তার চমকে দেবার মত খুবই ইঙ্গিতবাহী মন্তব্য ’ রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই। যা নিয়ে বিরোধীরা ভরতবাবুকে কটাক্ষ করতে ছাড়ছেন না। সব দলইতো হলো এবার বিজেপিটা চেখে নেবেন এই আশা করছি !
ভরত ঝাওর আমি বেলডাঙা বিধানসভায় প্রাথী হিসাবে আসা করেছিলাম, আমি যা কাজ করেছি আমার ধারণা ছিল আমার কাজের পুরস্কার আমি নমিনেশন পাবো এবং বেলডাঙা সহ আরও তৎসম এলাকার বেশী মানুষের উপকার করতে পারবো। কারন এম এল এ একটা বড় যায়গা, সেটা পাইনি কষ্ট হয়েছে মর্মাহত এবং আমার মনে হয়েছে যে যোগ্যতা, শিক্ষা পারদর্শিতা প্রার্থী সিলেকশনে অগ্রাধিকার পাইনি। যে টিকিট পেয়েছে সে আমার ভাইয়ের মতো গত ইলেকশনে ওর সাথে পুর দায়িত্বে আমি ছিলাম কালীগঞ্জে, বেলডাঙা থেকে কালিগঞ্জে গিয়ে ওকে জিততে সাহায্য করেছিলাম। বিগত লোকসভায় ৩৭ হাজারের ভোটে লিড ছিল কালীগঞ্জ বিধানসভায়, তা ছেড়ে ওর এখানে আসা ঠিক হয়নি বলেই আমি মনে করি। কারন ওর বলা উচিৎ ছিল বেলডাঙার উন্নয়ন, বেলডাঙার মানুষের জন্য এখানে ভরত ঝাওরকে দেওয়া উচিৎ ছিল এটা ওর বলা উচিৎ ছিল। সেটা ও বলেনি, ওর যেটা ভালো লেগেছে সেটা ও করেছে। গোটা ঘটনায় আমি খুব মর্মাহত সুতরাং আমার ট্রমা কাটতে তো সময় লাগবে, আমি এখন ট্রমার মধ্যে আছি। এই ঘটনা আমার ভাল লাগেনি এটা বলতে আমার কোন দ্বিধা নেই। তা হলে কি দল ছাড়ছেন ? সেটাও খোলশা করছেন না । বিরোধী কংগ্রেসের কটাক্ষ ভরতবাবুর সব দলতো হয়ে গেল শেষে বিজেপিটা ঘুরে আসুন। যদিও বিজেপি সুত্রে জানা গেলে বিজেপি জেলা নেতৃত্ব ভরতবাবুকে দলে নিতে উৎসাহী নয়। ভোটের আগে ভরতের ভবিষ্যথ নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা ।















