যারা দেখাল পুজোর জামা, তাদের বাড়িতে নতুন জামা, হয়েছে তো ?

Published By: Madhyabanga News | Published On:

দেবনীল সরকারঃ  ষষ্ঠীর রাত শেষ । পুজো এসেই গিয়েছে। কী  অবস্থা জামা কাপড়ের বাজারের ?  খাগড়া চৌরাস্তার মোড়ে সুনীতা ও মনমোহিনী এই বড়ো বস্ত্র প্রতিষ্ঠানগুলি এক নামে চেনে শহর তথা জেলার মানুষ। এরকম আরও বেশ কিছু পুরোনো বস্ত্র প্রতিষ্ঠান আছে এই এলাকায়। সেখানে যাঁরা সর্বক্ষণ মানুষজনকে পুজোর নতুন জামা কাপড় দেখান কিনতে সাহায্য করেন পুজোর আগে কেমন আছেন তাঁরা ?  নতুন জামাকাপড় হলো তাঁদের?

প্রায় ২৫ বছর ধরে দোকানে কাজ করেন খাগড়ার মানুষ প্রবীর দাস। প্রথমে দোকানে কাজ করতে এসেছিলেন এখন সেই দোকানের শাড়ির সেকশনের ম্যানেজার তিনি। বছরের বেশিরভাগ সময়েই কলকাতা, দিল্লি, বোম্বে, লুধিয়ানা, আমেদাবাদ এই করে বেড়ান তিনি। কাপড় স্টক করার বেশ অনেকটাই দায়িত্ব তাঁর। কর্মব্যস্ত প্রবীরবাবু বলেন, বাড়ি বলে কিছু নেই দোকান- ই তাঁর কাছে সব। পুরোনো দিনের স্মৃতি থেকে বলেন আগে আর্থিকভাবে স্বচ্ছল না হলেও এখন তিনি আর্থিকভাবে যথেষ্ট স্বচ্ছল। তাঁর অনেক কাজ। দোকানে যাঁরা নতুন কাজে ঢুকছেন তাঁদের কাজ শেখানো ও তাঁর ডিপার্টমেন্টের সমস্ত কর্মচারীর খেয়াল রাখতে হয় তাঁকে।

এখন পুজোর আগে দেকোন রোজ খোলা থাকে। কাকে কবে ছুটি দিতে হবে? কে কত টাকা পাবে? চুক্তির ভিত্তেতে যাদের নিয়েগে করা হয়েছে তাঁদের চুক্তি কবে শেষ হচ্ছে সব খেয়াল রাখতে হয়। প্রবীর বাবু ও তাঁর সহকর্মীদের। দোকান হলেও একটি অফিসের মতো চলে আজকাল এই দোকান গুলি।পুজো ইদের আগে এক বা দুইমাসের চুক্তির ভিত্তিতে নেওয়া হয় অনেক শ্রমিক। কাজের ধরন অনুযাযী মাসে পাঁচ থেকে পনেরো হাজার টাকার বিনিময়ে কাজ করেন তাঁরা।

চুক্তির ভিত্তিতে কর্মরত ছেলে বিশাল হালদার। ওর বাবা ফুচকা বিক্রি করেন ।  স্কুল শেষ করে বিশাল ৬০ দিনের চুক্তিতে কাজে ঢুকেছে । কাল ওর মেয়াদ শেষ । কাজ শেষে ১৫০০০ টাকা পাবে ওই দিয়ে কলেজে ভর্তি হবে আর বাকি টাকা বাবা মাকে দেবে । পুজোর জামা প্যান্ট হয়েছে কি না জিজ্ঞেস করলে বলে, কাল টাকা পেলে কিনব।

দশবছর ধরে খাগড়া একটি খাদির দোকানে কাজ করেন ইসলামপুরের গৌতম ঘোষ। রোজ সকালে বাসে করে আসেন এখানে । কাজ সেরে আবার ফিরে যান দেশে। তিনি পুজোর বাজার করেছেন ইসলামপুর থেকেই । তিনি বলেন, এখানে জামা কাপড়ের দাম বেশি। তাই ওখান থেকেই কিনি।

পুজোর আনন্দ সবার ঘরে আসুক। কাজে থাকুক মানুষ। পুজো শেষে আবার সুস্থ মনে কাজে ফিরুক মানুষ। এমন বার্তায় দিলেন দোকানে কর্মরত মহিলা কর্মী বছর ৪০ এর রুবি শর্মা। অষ্টমীতে ছুটি পেয়েছেন তিনি।