বেদান্ত চট্টোপাধ্যায়ঃ ওঁরা গরমে ক্লান্তিহীন। সকাল থেকে রাত অবধি মানুষকে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে গন্তব্যে পৌঁছে দেন ওঁরা। বাইরে লু বইছে তবুও ওঁরা থেমে নেই। ওঁরা টোটো চালক ।
শারীরিক অসুস্থতা হোক, বা কাছাকাছি কোথাও যাওয়া তার জন্য বহরমপুর শহরে টোটোর জুড়ি মেলা ভার। রাতবিরেতে বিপদ হোক বা কোনো অনুষ্ঠান, বা কাছেপিঠে কোথাও ঘুরতে যাওয়া এই মুহূর্তে মানুষের সর্বক্ষণের সঙ্গী এই টোটো।
লকডাউন, অতিমারী থাবা বসিয়েছিল জীবনে। সকাল থেকে রাত অব্দি টোটো চালিয়ে কত ইনকাম হয়! বর্তমানে যাওবা সংসার চালানোর মতো টাকা হচ্ছে, তখন তাও হতো না। এই গরমেও স্বস্তি নেই সাধারণ মানুষ থেকে টোটোওয়ালাদের ।
আবার এই শহরের যত যানজট, সে নিয়েও বহু মানুষ দাবি করেন এই টোটোর জন্যই যত জ্যাম। কিন্তু আদতে কি তাই! প্রশ্ন করতেই টোটোচালক শ্যামল দাস জানালেন, “ শুধু টোটো তে জ্যাম হয়না , ক্রসিং এর সময় যখন টোটো গুলি মুখোমুখি হয় তখন কোনো গাড়ি বা বাইক এসে মাঝ খানে ঢুকিয়ে দিলেই জ্যাম বাঁধে,দোষ হয় টোটোর”।
টোটো চালক সাবির সেখের কথায়, ” যানজট হলেই নাকি আমাদের দোষ ? বাকি গাড়িদের কথা তো কেউ বলে না”।
আছে তীব্র গরম, ভাড়া নিয়ে কথাকাটাকাটি, ট্রাফিক পুলিশের চোখ রাঙানিও । এতো কিছুর পরেও টোটো চালকরা পরিষেবা অব্যাহত রেখেছে। টোটোচালকরাই এ শহরের সর্বক্ষণের সঙ্গী।