রাত পোহালেই জেলায় আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি Mamata Banerjee CM WB । বুধবার বহরমপুর রবীন্দ্রসদনে করবেন প্রশাসনিক সভা। মুখ্যমন্ত্রীর সভার আগে ফের তুঙ্গে জেলা ভাগ ঘিরে বিতর্ক। ৫ টি সাবডিভিশন নিয়ে গঠিত মুর্শিদাবাদ জেলা। জেলায় রয়েছে ২৬ টি ব্লক, ৮ টি পৌরসভা। জেলায় তিনটি লোকসভা আসন, ২২ টি বিধানসভা আসন আছে।
মুর্শিদাবাদ জেলা ভাগ নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে সমস্ত মহলে । জেলা ভাগ প্রসঙ্গে সাধারণ মানুষের অনেকেই বলছেন ,জেলা ভাগ জরুরি। জঙ্গিপুর পুলিশ জেলা থেকে জেলা সদর বহরমপুরে এসে কাজ করা অনেকের পক্ষেই অসুবিধার। বহরমপুরে রবীন্দ্রসদনে প্রশাসনিক বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী জেলা ভাগ নিয়ে কোনও বার্তা দেন কিনা তা জানতে মুখিয়ে আছে মুর্শিদাবাদ।
ইতিমধ্যেই মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলা ও জঙ্গিপুর পুলিশ জেলা ভাগ হয়েছে! যদিও প্রশাসনিক সুত্রে জানা যাচ্ছে জেলা ভাগের ক্ষেত্রে প্রক্রিয়া বেশ জটিল । তাছাড়া, কোন কোন এলাকা নতুন জেলার অর্ন্তভুক্ত হবে, তার রূপরেখাও জরুরি।
আজনতার অনেকেই বলছেন, প্রশাসনিক কাজের ক্ষেত্রে সদর শহরে আসতে বহু ভোগান্তি হয় জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার অন্তর্গত বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের। যাতায়াতের সমস্যাও রয়েছে। প্রশাসনিক ভবনে সামসেরগঞ্জ থেকে আসা রফিকুল আলম বলছেন, “ বাড়ি থেকে বহরমপুরে অফিসের কোন কাজে আসতে গেলে সেই ভোর বেলায় বেড়িয়ে আসতে হয়, সারাদিনের ঝক্কি । কাজ না হলে ফিরে যেতে হয় । রোজ রোজ আসা সমস্যার, যদি জেলা ভাগ হয় প্রশাসনিক কাজে সুবিধা হবে” ।
এই নিয়ে তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোরও । গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে মুর্শিদাবাদের বিধায়ক গৌরী শঙ্কর ঘোষ জানাচ্ছেন, “ জেলা ভাগ করেই উন্নয়ন হয় না ।ওরা ওদের রাজনৈতিক সুবিধার্থে জেলা ভাগ করবে” ।
জেলা ভাগ প্রসঙ্গে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি মুর্শিদাবাদ জেলা কংগ্রেস এর মুখপাত্র জয়ন্ত দাস, তিনি বলেন , “ পদ্ধতি মেনে জেলা ভাগ হোক- খাতায় কলমে নয়।যদি ঠিকঠাক ভাবে জেলা ভাগ হয় তা সাধারনের জন্য ভালই হবে” ।
তবে এই সমস্ত কিছুর উত্তরে শাসক দলের পক্ষ থেকে তৃণমূল নেতা অশোক দাস বলেন , “বর্ধমান ভাগ হয়েছে, মেদিনীপুর ভাগ হয়েছে ,প্রয়োজন পড়লে মুর্শিদাবাদও ভাগ হবে। দিদি সমস্ত দিক বিবেচনা করেই যা সিদ্ধান্ত নেবেন”।
তবে জেলা ভাগ হচ্ছে কিনা এই সমস্ত জল্পনার অবসান হবে মুখ্যমন্ত্রী আসার পর । প্রশাসনিক বৈঠকের মঞ্চ থেকে জেলা ভাগ নিয়ে কী বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী সে দিকেই তাকিয়ে মুর্শিদাবাদের মানুষ ।