মধ্যবঙ্গ নিউজ ডেস্কঃ পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে মুর্শিদাবাদে বড় সভা করল বিজেপি। সোমবার শক্তিপুর রেল স্টেশনের মাঠে সেই সভা থেকে তৃণমূলকে নিশানা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সাথে শোনালেন মুর্শিদাবাদ জেলার সংখ্যালঘু নিবিড় বুথগুলিতে বিজেপি’র স্ট্র্যাটেজিও। এদিন শভেন্দু দাবি করেছেন, জেলায় তিনিই তৃণমূল কংগ্রেস প্রতিষ্ঠা করেছেন, দলের শক্তি বাড়িয়েছিলেন। মুর্শিদাবাদে তৃণমূল কংগ্রেসকে শেষ করবেন তিনি নিজেই। বিজেপি নেতার মুখে উঠে এসেছে ভুল সংশোধনের কথাও।
শুভেন্দুর দাবি মুর্শিদাবাদ হাতের তালুর মতো চেনেন । এদিন ভাষণে হিন্দু, মুসলামান ভোটের সমীকরণের কথাও উঠে এসেছে শুভেন্দুর ভাষণে। এদিন কর্মীদের শুভেন্দুর নিদান, হিন্দু নিবিড় বুথে পদ্মফুল ফোটান। সংখ্যালঘু নিবিড় বুথে যাতে তৃণমূল না যেতে সেই ব্যবস্থা করবেন তিনি । শুভেন্দু বলেন, ২০২৩ সালে মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূল মুক্ত হবে। সবাইকে ঐববদ্ধ হতেও বলেছেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, “আমরা চাই ভয়মুক্ত ত্রুটিমুক্ত, নির্বাচন। আমরা সেই নির্বাচনের লক্ষ্যে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে বলি”।
অধীর চৌধুরীর লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যেই পড়ে শক্তিপুর। যদিও কংগ্রেসকে সেরকম আক্রমণ করেন নি শুভেন্দু। যদিও শুভেন্দু বলেন,” শক্তিপুরের মানুষকে শুভেন্দুঃ কংগ্রেসের টুপিতে আর পা দেবেন না। আপনার প্রতীক একটাই পদ্মফুল। পদ্মছাড়া প্রতীক নেই”। মুর্শিদাবাদ জেলার উন্নয়ন নিয়েও শুধুই নিশানা করেছেন তৃণমূলকে।
এই ভাষণের পরেই জল্পনা শুরু রাজনৈতিক মহলে। প্রশ্ন উঠছে তাহলে শুভেন্দু সংখ্যালঘু নিবিড় বুথে কংগ্রেস, বামেদের সমর্থনের ইঙ্গিত দিলেন ? জেলায় পঞ্চায়েতকে লক্ষ্য রেখে পদযাত্রা শুরু করেছে কংগ্রেস। সাগর থেকে পাহাড় পদযাত্রার অংশ হিসেবে এই পদযাত্রায় হাঁটছেন অধীর চৌধুরী। অন্যদিকে আবাস নিয়ে গ্রামে গ্রামে পথে নেমেছে বামেরাও। এর মাঝেই শুভেন্দুর এই ইঙ্গিত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
শুভেন্দুর দাবি, আধা সামরিক বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন করতে হবে। কোর্ট নিযুক্ত পর্যবেক্ষক দিয়ে গণনা করতে হবে।