মধ্যবঙ্গ নিউজ ব্যুরোঃ ০৫ মার্চঃ “একেই বলে ভো কাট্টা” , মুচকি হেসে তৃণমূল ভবনে চায়ের কাপ হাতে তুলে নিলেন পার্টির নেতা। হাসি চওড়া হল মুর্শিদাবাদে দলের প্রার্থীদের তালিকা শুনে। তবে মমতার প্রার্থী তালিকায় নাম না থাকায়, মুখে ভার হয়েছে অনেকেরই।
অনেকেই যে ভো কাট্টা! মানছে তৃণমূল মহল। কার ঘুড়ি কাটা পড়ল কার সুতোয় , কোন সমীকরণে সব দিকে নিয়ে জোর জল্পনা জেলা তৃণমূলের অন্দরে।
পিকে থেকে জেলা নেতারা সকলে মিলেই তৈরি করেছিলেন নেতারা। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দলনেত্রীর।
প্রার্থী তালিকায় নাম থাকায় কপাল চাপড়েছেন প্রাক্তন সাংসদ মইনুল হাসান ঘনিষ্টরাও। দলের জেলার কোর কমিটির সদস্য মইনুলের দাঁড়ানোর কথা ছিল ডোমকল বা জলঙ্গী আসন থেকে। অন্যদিকে প্রার্থী হতে পারেন নি জেলা তৃণমূলের দুই কোঅর্ডিনেটার অরিত মজুমদার এবং অশোক দাস। অরিত অশোক অনুগামীদের মুখ বেশ গম্ভীর হয়েছে শুক্রবার। বাদ পড়েছেন দলের দীর্ঘদিনের নেত্রী শাহনাওয়াজ বেগমও। মান্নান হোসেনের এক পুত্র সৌমিক হোসেনকে প্রার্থী করা হলেও, প্রার্থী করা হয় নি রাজীব হোসেনকে। ভগবানগোলা কেন্দ্র নিয়ে আশাবাদী ছিলেন তিনি। প্রার্থী করা হয় নি মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সহ সভাপতি বৈদ্যনাথ দাসকেও। বাদ পড়েছেন ভরতপুরের তৃণমূল কংগ্রেস নেতা মহম্মদ আজাহারউদ্দিন ওরফে সিজার।
সাগরদিঘি, জলঙ্গী, মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রের দলের কর্মীদের এক অংশ প্রার্থী বদল চেয়ে সোচ্চার হয়েছিলেন প্রকাশ্যেই, তবে তাদের মতকেও গুরুত্ব দেয় নি দল। বিশ্লেষকদের ব্যাখ্যা, স্থিতাবস্থাতেই আস্থা রাখছেন মমতা। ভরসা তাই দলের পুরোনো মুখেই।
তবে ঘুড়ি যাদের কেটেছে, তারা কেউ অন্য সুতো ধরবেন কিনা; দলবদলের মরশুমে সে কথা বলতে পারছেন না কেউই।